শ্রমিক কল্যাণ আইনের আওতায় থাকা সুবিধা পাবেন কো অপারেটিভ সোসাইটির (সমবায় সমিতি) কর্মীরা। সদ্য কেরল হাইকোর্ট এই রায় দিয়েছ কেরল কোঅপারেটিভ সোসাইটি অ্যাক্টের আওতাধীন সেখানের কো অপারেটিভ সোসাইটির কর্মীরা। আর তাঁদের জন্য এবার কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলী পুরুষোত্থামান শোনালেন বড় রায়।
কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি মুরলী পুরুষোত্থামানের বেঞ্চে উঠেছিল মামলা। সেই মামলায় বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন, ‘কেরল কোঅপারেটিভ সোসাইটিস অ্যাক্ট ১৯৬৯ ‘ এর বাইরে নন কেরলের কো অপারেটিভ সোসাইটির কর্মীরা। ফলে তাঁরা শ্রমিক কল্যাণ আইনের আওতাধীন সুবিধার থেকেও বাইরে নন। কোন কোন আইনি রাস্তা ধরে কো অপারেটিভ সোসাইটির কর্মীরা শ্রমিক কল্যাণ আইনের আওতায় সুবিধা পাবেন,তারা অ্যাক্ট গুলিএ জানিয়ে দিয়েছে কোর্ট। এই অ্যাক্টগুলি হল - ‘কেরলা শপস অ্যান্ড কমার্শিয়াল এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৬০’, 'মিনিমাম ওয়েজ অ্যাক্ট ১৯৪৮',' মেটারনিটি বেনিফিট অ্যাক্ট ১৯৬১', ‘কেরল ইন্ডাস্ট্রিয়াল এসটাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট ১৯৫৮’।
কোর্ট জানিয়েছে, ‘ সমবায় সমিতির কর্মচারীরা উল্লিখিত শ্রম আইনের সুবিধা পাওয়ার অধিকারী। কেরালা কো-অপারেটিভ সোসাইটি অ্যাক্ট এবং বিধিগুলি সমবায় সমিতিগুলির উপরোক্ত শ্রম আইনগুলির কার্যকারিতা এবং প্রযোজ্যতাকে বাদ দেয় না।’ এই গোটা মামলা হয়েছিল চেরপ্লাসারি কো-অপারেটিভ হাসপাতালের এক আবেদনের ভিত্তিতে। শ্রম আইন অনুযায়ী সেখানে কার্যাবলী চলছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে এক শ্রমবিভাগের অফিসার পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে গিয়ে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলচেরপ্লাসারি কো-অপারেটিভ হাসপাতাল। তার প্রেক্ষিতেই এই মামলায় রায় দেয় কোর্ট।
হাইকোর্টের কাছে পিটিশনারের দাবি ছিল যে, কেরলা কো অপারেটিভ সোসাইটিস অ্যাক্টের আওতায় সেখানের সমবায় কর্মীরা রয়েছেন। ফলে সেখানে শ্রম আইনের নিয়ম খাটে না, বলে দাবি ছিল পিটিশনারের। কোর্ট তা খারিজ করে দিয়েছে। আদালত আবেদনকারীদের রেজিস্টার এবং রেকর্ড বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে। আর তা করতে হবে মিনিমাম ওয়েজেস অ্যাক্ট সেকশন ১৮ এর আওতায়।