অবশেষে ফর্মে ফিরলেন শুভমন গিল। পঞ্জাবের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৯ রানের ইনিংসের সৌজন্যে তাঁর দল ১৯৯ রান তুলেছিল প্রথমে ব্যাট করে। সেই রান ডিফেন্ড করে জিততে অবশ্য পারেনি গিলের দল গুজরাট টাইটানস। যদিও তাতে তাঁর কিছুই করার ছিল না। কারণ বোলাররা প্রায় সকলেই স্লগ ওভারে ব্যর্থ হন।
অধিনায়ক হিসেবে গিলের পারফরমেন্স নিয়ে প্রশ্ন করা গেলেও ব্যাটার হিসেবে গিলকে নিয়ে প্রশ্ন করার আর কোনও সুযোগই রইল না। গত দুই আইপিএলের সব থেকে ধারাবাহিক ক্রিকেটার ফিরলেন নিজের চেনা ছন্দে। আর তারপরই বিরাট কোহলির সঙ্গে তার মিল খুঁজে পেলেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইরফান পাঠান।
দুর্দান্ত শট সিলেকশন এবং নিঁখুত টাইমিংয়ে গিল মন জিতে নিয়েছেন পাঠানের। এবারের আইপিএলে নিজের প্রথম অর্ধশতরান পেলেন পঞ্জাব তনয়। তারপরই সোশাল মিডিয়ায় বিরাট কোহলির সঙ্গে গিলের তুলনা করে পাঠান বললেন, টি-২০ ফরম্যাটে বিরাট কোহলির মতোই সব সময় খেলা কন্ট্রোল করেন গিল। শুধু শক্তি দিয়ে নয়, নিখুঁত টাইমিং দিয়ে।
শুধু ইরফান পাঠানই নন, গিলের প্রত্যাবর্তনে খুশি বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় ক্রিকেটার যুবরাজ সিংও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘দুরন্ত প্রত্যাবর্তন গিলের। ম্যাচের শুরু থেকেই নিজের ওপর অগাধ ভরসা রেখে খেলছিল গিল। কোনও সময়ই বেশি তাড়াহুড়ো করেনি রান করার। ঠান্ডা মাথায় বল বুঝে স্ট্রেট ব্যাটে খেলেছে।’
গিলের সঙ্গে বিরাট কোহলির তুলনা টানার কারণও আছে। গত বছর শুভমন গিল প্রায় ভেঙেই ফেলছিলেন বিরাট কোহলির এক আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এক আইপিএলে বিরাটের সর্বোচ্চ রান ৯৭৩। গত বছর ৮৯০ রান করেছিলেন গিল, যা আইপিএলের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।
গুজরাটের জার্সিতে প্রথম বছর ১৬ ম্যাচে ৪৮৩ রান করেছিলেন পঞ্জাব তনয়। গুজরাট টাইটানসের হয়ে সব থেকে বেশি রান রয়েছে তাঁর ঝুলিতেই। ২০১৮ সালে কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে অভিষেক হওয়া গিলের এখনও পর্যন্ত আইপিএল মোট রান ২৯৫৪। হার্দিক পান্ডিয়া চলে যাওয়ার পর চলতি মরশুমে শুভমন গিল পেয়েছেন অধিনায়কত্বের গুরু দায়িত্ব। সেই চাপই তাঁর খেলায় প্রভাব ফেলছে কিনা চলতি আইপিএলে, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল ক্রিকেটমহল।
সামনে রয়েছে টি-২০ বিশ্বকাপ। তার আগে সকলেই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন ভারতের টপ থ্রির ফর্মে ফেরার। বিরাট রান পেয়েছেন। গিলও রান পেলেন। এখন অপেক্ষা রোহিত শর্মার রানে ফেরার। তাহলেই আগামী টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দেবে ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা।