মেয়েদের ক্রিকেটে যা কেউ কখনও করে দেখাতে পারেননি, এক দিনের ব্যবধানে দু'বার সেই কৃতিত্ব অর্জন করলেন আইরিস জুইলিং। নেদারল্যান্ডসের ক্যাপ্টেন তথা ওপেনার ১০ ওভারের ক্রিকেটে তিন দিনে দু'বার টপকালেন ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি।
গত সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) ইসিসি উইমেন্স টি-১০ লিগে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচে ৫টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ৩৬ বলে ১০২ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন জুইলিং। মেয়েদের টি-১০ ক্রিকেটে এটিই প্রথম ব্যক্তিগত শতরানের নজির।
এবার বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মেয়েদের ইউরোপীয়ান ক্রিকেট চ্যাম্পিয়নশিপে ফের সেই অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান জুইলিং। তিনি ৩১ বলে ১০০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে নট-আউট থেকে যান। জুইলিং শতরানের গণ্ডি টপকাতে সাহায্য নেন ৪টি চার ও ১১টি ছক্কার।
কার্তামা ওভালে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে ফিরতি ম্যাচে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নেদারল্যান্ডস। তারা নির্ধারিত ১০ ওভারে কোনও উইকেট না হারিয়ে ১৮৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। অর্থাৎ, ওপেনিং জুটিতেই রেকর্ড ১৮৭ রান তুলে ফেলে ডাচরা।
জুইলিংয়ের পাশাপাশি ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন অপর ওপেনার রবিন রিজকে। তিনি ৩১ বলে ৭৬ রান করে নট-আউট থেকে যান। সাহায্য নেন ৩টি চার ও ৭টি ছক্কার। অস্ট্রিয়ার সৌজন্য চামুণ্ডাইয়া ২ ওভারে ৪৫ রান খরচ করেন। ২ ওভার বল করে ৪৬ রান খরচ করেন মল্লিকা মহাদেবা।
পালটা ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রিয়া ১০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে মাত্র ৪৭ রানে আটকে যায়। ১৪০ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচ জেতে নেদারল্যান্ডস। প্রিয়া সাবু ২০ ও মল্লিকা মহাদেবা ১৯ রান করেন। ডাচদের হয়ে ১ ওভারে মাত্র ২ রান খরচ করে ২টি উইকেট তুলে নেন রবিন রিজকে। ২ ওভারে ৯ রান খরচ করে ১টি উইকেট নেন ক্যারোলিন ডি'ল্যাঙ্গ। আইরিস জুইলিং ১ ওভার বল করে ৭ রান খরচ করেন। যদিও কোনও উইকেট পাননি তিনি।
উল্লেখ্য, জুইলিং এখনও পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ৭টি ম্যাচে মাঠে নেমে ২টি হাফ-সেঞ্চুরি ও ২টি সেঞ্চুরি করেছেন। ৯৬.৫ গড়ে সংগ্রহ করেছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ ৩৮৬ রান। জুইলিং ২৫৫.৬৩ স্ট্রাইক-রেটে রান সংগ্রহ করেছেন। তাঁর ব্যক্তিগত ইনিংসগুলি যথাক্রমে ৫, ৭৪, ১০২, ১, ৭৯, ২৫ ও ১০০ রানের।