ব্যাট হাতে অনবদ্য শতরান করে মুশির খান রঞ্জি ফাইনালে মুম্বইকে নির্ভরতা দেন। এবার বল হাতেও প্রতিপক্ষ বিদর্ভ শিবির মোক্ষম আঘাত হানেন সরফরাজ খানের ভাই। তনুষ কোটিয়ানের পাশাপাশি শেষ ইনিংসে ইতিমধ্যেই একজোড়া উইকেট নিয়ে মুশির বিদর্ভকে কোণঠাসা করেন।
এমনিতেই রঞ্জি ফাইনালে জয়ের জন্য বিদর্ভের সামনে পাহাড়প্রমাণ যে টার্গেট ঝুলিয়ে দিয়েছে মুম্বই, তা টপকানো নিতান্ত কঠিন। তবে চতুর্থ দিনে ব্যাট হাতে যে রকম চোয়ালচাপা লড়াই চালায় বিদর্ভ, তার জন্য কৃতিত্ব প্রাপ্য করুণ নায়ার ও ক্যাপ্টেন অক্ষয় ওয়াদকরের। অক্ষয় নিজের লড়াই জারি রাখেন চতুর্থ দিনের শেষেও। তবে করুণ নায়ারের প্রতিরোধ ভাঙেন মুশির।
ওয়াংখেড়ের রঞ্জি ফাইনালে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২২৪ রানে। শার্দুল ঠাকুর ৭৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। পালটা ব্যাট করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বিদর্ভ। তারা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৯ রানে এগিয়ে থাকে মুম্বই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেতে নেমে মুম্বই ৪১৮ রান সংগ্রহ করে। মুশির খান ১৩৬, শ্রেয়স আইয়ার ৯৫, অজিঙ্কা রাহানে ৭৩ ও শামস মুলানি ৫০ রান করেন। সুতরাং, প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য বিদর্ভের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৩৮ রানের। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে শেষ ইনিংসে এত রান তুলে কোনও দল ম্যাচ জেতেনি। সুতরাং, জিততে হলে বিদর্ভকে সর্বকালীন রেকর্ড গড়তে হবে।
এমন পরিস্থিতিতে শেষ ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিদর্ভ চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করে ৫ উইকেটে ২৪৮ রান তুলে। অর্থাৎ, শেষ দিনে জয়ের জন্য বিদর্ভের দরকার আরও ২৯০ রান। চ্যাম্পিয়ন হতে মুম্বইয়ের প্রয়োজন আর ৫টি উইকেট।
বিদর্ভের হয়ে শেষ ইনিংসে লড়াকু হাফ-সেঞ্চুরি করেন করুণ নায়ার ও অক্ষয়। নায়ার ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২২০ বলে ৭৪ রান করে মুশিরের বলে আউট হন। অক্ষয় নট-আউট থাকেন ৫৬ রান করে। ৯১ বলের ইনিংসে তিনি ৬টি চার ও ১টি ছক্কা মেরেছেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ১১ রান করে অপরাজিত থাকেন হর্ষ দুবে।
অথর্ব টাইডে ৩২, ধ্রুব শোরে ২৮, আমন মখাড়ে ৩২ ও যশ রাঠোর ৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তনুষ ও মুশির ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ১টি উইকেট নিয়েছেন শামস মুলানি।