বিদর্ভ রঞ্জি ট্রফির শেষ ইনিংসে কখনও ৩৫০ রানের বেশি তুলতে পারেনি। সেখানে মুম্বইয়ের ঝুলিয়ে দেওয়া ৫৩৮ রানের টার্গেটে পৌঁছনোর কাজটা কতটা কঠিন, ক্রিকেটের বোদ্ধা মাত্রই সেটা জানেন। তাছাড়া এত রান তাড়া করে কেউ কখনও রঞ্জি ম্যাচ জেতেনি। সেদিক থেকে দেখলে ফাইনালে মুম্বইকে হারিয়ে এবার রঞ্জি খেতাব জিততে হলে সর্বকালীন রেকর্ড গড়তে হবে বিদর্ভকে।
রঞ্জি ফাইনালের শেষ ইনিংসে বিদর্ভের সামনে পাহাড়প্রমাণ টার্গেট থাকলেও তারা শুরুতে মন্দ করেনি মোটেও। ওপেনিং জুটিতে ৬২ রান তুলে ফেলে বিদর্ভ। তবে শামস মুলানির বলে অথর্ব টাইডে এলবিডব্লিউ হওয়ার পরেই ছবিটা বদলে যায় মুহূর্তে।
ওয়াংখেড়েতে রঞ্জি ফাইনালের তৃতীয় দিনের শেষে বিদর্ভ তাদের শেষ ইনিংসে বিনা উইকেটে ১০ রান তোলে। তার পর থেকে খেলতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ইনিংসের ১৮.৫ ওভারে শামস মুলানির বলে এলবিডব্লিউ হন টাইডে। তিনি ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৬৪ বলে ৩২ রান করেন। ঠিক পরের ওভারের শুরুতেই আউট হন বিদর্ভের অপর ওপেনার ধ্রুব শোরে।
১৯.১ ওভারে তনুষ কোটিয়ানের যে ডেলিভারিতে বোল্ড হন শোরে, তাকে ক্লাসিক অফ-স্পিন বলতেই হয়। যে কোনও অফ-স্পিনারের কাছে ড্রিম ডেলিভারি হিসেবে বিবেচিত হবে বলটি। অফ-স্টাম্পের অনেকটা বাইরে বল পড়ছে দেখে কাট করার জন্য তৈরি ছিলেন ব্যাটসম্যান। তবে বল হঠাৎ করে অতটা বাঁক নেবে, সেটা বোধহয় অনুমান করতে পারেননি ধ্রুব। ফলে তড়িঘড়ি ব্যাট নামানো সম্ভব হয়নি তাঁর পক্ষে।
শোরে যতক্ষণে ডিফেন্স করার চেষ্টা করেন, তার আগেই বল নাড়িয়ে দেয় মিডল স্টাম্প। এমন ডেলিভারি নিঃসন্দেহে খুশি করবে রবিচন্দ্রন অশ্বিনদেরও। অর্থাৎ, তিন বলের মধ্যে বিদর্ভ তাদের দুই ওপেনারের উইকেট হারিয়ে বসে। দলগত ৬২ রানের মাথাতেই আউট হন ধ্রুব। তিনি ৪টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ বলে ২৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।
অথর্ব-ধ্রুব সাজঘরে ফেরার পরে করুণ নায়ারকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে বিদর্ভকে দলগত ১০০ রানের গণ্ডি পার করান আমন। তবে চতুর্থ দিনের লাঞ্চের পরে তিনি আউট হয়ে বসেন ব্যক্তিগত ৩২ রানে। ৭৮ বলের ইনিংসে আমন ২টি চার মারেন। বিদর্ভ দ্বিতীয় ইনিংসে দলগত ১১৮ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বসে। আমনকে সাজঘরে ফেরান মুশির খান।