কথামতো কাজ করেননি বরুণ চক্রবর্তী। সেজন্য গত বছর কাঁচি দিয়ে বরুণের জামা কেটে দিয়েছিলেন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) হেড কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। কেকেআরের প্রাক্তন তারকা নারায়ণ জগদীশান এমনই দাবি করেছেন বলে একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে। সার্কেল অফ ক্রিকেটের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বুধবার বিশাখাপত্তনমে কেকেআর বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচের মধ্যে আইপিএলের সরকারি সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টস তামিল ভাষার ধারাভাষ্যের সময় জগদীশান বলেছেন যে ‘গত বছরের কেকেআরের শিবিরে চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত বলেছিলেন যে একদিন হাতা বিহীন জামা পরতে হবে। কিন্তু ওই দিন ভুল করে (বরুণ) ফুল হাতা জামা পরে নিয়েছিল। চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ওকে একদিকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং কাঁচি দিয়ে ওর জামার হাতা কেটে দিয়েছিলেন।’ যদিও বিষয়টি নিয়ে কেকেআর কর্তৃপক্ষের তরফে আপাতত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
আর সেই বিষয়টি এমন একটা সময় সামনে এল, যখন প্রাক্তন নাইট ডেভিড ওয়াইজের মন্তব্য নিয়ে তুমুল হইচই হয়েছিল। পডকাস্ট অনুষ্ঠান ‘হিটম্যান ফর হায়ার: আ ইয়ার ইন দ্য লাইফ অফ আ ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটার’-এ তিনি বলেছিলেন, ‘নয়া কোচ নতুন কিছু বিষয় চালু করেছিলেন, যেগুলির হাত ধরে সাফল্য আসবে বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু বিদেশি খেলোয়াড়রা সবসময় সেই বিষয়গুলি পছন্দ করে না। ভারতে উনি বেশ মিলিটারি মেজাজের কোচ হিসেবে পরিচিত। কঠোর শৃঙ্খলাপরায়ণ হিসেবে পরিচিত। যে বিদেশি খেলোয়াড়রা পুরো বিশ্বে খেলে বেড়িয়েছে, তাদের এমন কাউকে প্রয়োজন নেই, যিনি এসে বলবেন যে কীরকম আচরণ করতে হবে, সারাদিন কী করতে হবে।’
যদিও ওয়াইজের সেই মন্তব্য উড়িয়ে দেন কেকেআরের তারকা ক্রিকেটার আন্দ্রে রাসেল। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) ম্যাচের আগে তিনি জানিয়ে দেন, এক বছর ধরে রঞ্জিজয়ী কোচ পণ্ডিতের সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। প্রাথমিকভাবে যে কোনও কোচের কাজের স্টাইলের সঙ্গে মিলিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগে। ধাতস্থ হতে সকলেরই সময় লাগে বলে জানিয়েছিলেন রাসেল। সেইসঙ্গে তিনি জানান, পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে সেই কাজটা করতেই হবে।
এমনিতে এবারও কেকেআরের হেড কোচ আছেন পণ্ডিত। তবে তাঁর সঙ্গে মেন্টর হিসেবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে গৌতম গম্ভীরকে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, এখন কেকেআরের পুরো রাশ আছে গম্ভীরের হাতে। মূলত ভারতীয় খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণ করেন পণ্ডিত। আর বিদেশিদের সঙ্গে ম্যানেজারের কাজ করেন গম্ভীর।