আন্দ্রে রাসেল ছিলেন, ছিলেন সুনিল নারিনের মতো ঝড় তুলতে ওস্তাদ ব্যাটাররা। এছাড়া রিঙ্কু সিং-এর মতো বিস্ফোরক ব্যাটারদের নিয়েও ছিল আলোচনা। কিন্তু রবিবার বাংলার নবর্ষের দিন সব লাইমলাইট কেড়ে নিলেন ফিল সল্ট। লখনউ সুপার-জায়ান্টসের সব হিসেব ওলটপালট করে দিয়ে, কলকাতা নাইট রাইডার্সকে জেতালেন ফিল সল্ট। লখনউয়ের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে অপরাজিত ৮৯ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন সল্ট। এই ইনিংসে ছিল ১৪টি চার এবং ৩টি ছক্কা। তাঁর এই ইনিংসে জেরেই হারলেন কেএল রাহুলরা।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে জয়ের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের ওপেনার এবং ‘প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ’ ফিল সল্ট বলেছেন যে, তিনি ইডেন গার্ডেন্সকে ‘সত্যিই পছন্দ করেন’, কারণ এখানকার উইকেট অনেকটাই ইংল্যান্ডের উইকেটের মতো।
আরও পড়ুন: ছক্কার হ্যাটট্রিক হাঁকানো বল খুদেকে উপহার দিয়ে মন জিতলেন ধোনি, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
ইডেনের পিচকে দরাজ সার্টিফিকেট সল্টের
ম্যাচের পর সল্ট বলেন, ‘শ্রেয়স মিডল অর্ডারে নেমে খেলার হাল ধরেছিল, এবং আমাকে নিজের ছন্দে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিল। ঘরের মাঠে আরও একটি জয় পেয়ে ভালো লাগছে। লাইট জ্বলার আগে পর্যন্ত সূর্য যতক্ষণ ছিল, আমি অনুভব করেছি যে, পিচ কিছুটা ধীর গতির ছিল। যলাইট জ্বলার পর আর্দ্রতা বেড়ে যায়। তাই আমাদের ইনিংসে কিছুটা সুবিধে পেয়েছি। ভারতে, এই (ইডেন গার্ডেন্সের পিচ) পিচের সঙ্গেই সম্ভবত ঘরের মাঠের পিচের সবচেয়ে বেশি মিল রয়েছে। বল একটু বেশি বাউন্স করে এবং আপনি স্কোয়ার লক্ষ্য করতে পারেন। এখানকার উইকেট আমার সত্যিই ভালো লেগেছে। অসাধারণ উইকেট।’
আরও পড়ুন: বুমরাহের বিরুদ্ধে ২-৩ বছর ধরে নেটে খেলেন না সূর্য- কারণটা নিজেই ফাঁস করলেন MI তারকা
গরম উপেক্ষা করে বাজিমাত
এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেছেন, ‘আমাদের দলে বেশ কিছু ভালো বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছে। ভাল কোচ রয়েছে। তেমনই রয়েছে গৌতম গম্ভীরও।’ তবে গরমে খেলতে খুবই কষ্ট হয়েছে সল্টের। তিনি বলেন, ‘আমি খেলার আগে সোয়ানিকে (গ্রেম সোয়ান) বলেছিলাম যে, এই গরমে আমি গলে যাচ্ছি। মাত্র দু'মিনিটের জন্য বেরিয়েই এমনটা মনে হয়েছিল।’ তবে গরম উপেক্ষা করেই রবিবার বাজিমাত করেন ফিল সল্ট।
আরও পড়ুন: টপলি যেন ‘উড়ন্ত বাজ’, বাঁ-দিকে লাফিয়ে এক হাতে রোহিতের ক্যাচ ধরলেন, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
প্রথম বার লখনউকে হারাল কেকেআর
আইপিএলে প্রথম বার লখনউ সুপার জায়ান্টসকে হারাল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কেকেআরের বিরুদ্ধে অপরাজেয় তকমা নিয়ে নেমেছিলেন কেএল রাহুলরা। কিন্তু সেটা আর ধরে রাখতে পারলেন না তাঁরা। শাহরুখ খানের উপস্থিতিতে ইডেনে অনুষ্ঠিত দু'টি ম্যাচেই জয় পেল নাইটরা। এই নিয়ে পাঁচ ম্যাচ খেলে চারটিতেই জয় ছিনিয়ে নিল কেকেআর। চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে হারের পর ফের জয়ের সরণিতে ফিরল কলকাতার দল। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারের শেষে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬১ রান তোলে লখনউ সুপার জায়ান্টস। ২৬ বল বাকি থাকতে ১৫.৪ ওভারে জয়সূচক রানে পৌঁছে যায় নাইটরা। ৮ উইকেটে জিতল তারা।