মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ম্যাচে ফের ‘মাহি ম্যাজিকে’ বুঁদ ওয়াংখেড়ে। রবিবার মহেন্দ্র সিং ধোনির করিশ্মা ভক্তদের স্মৃতির সাগরে ডুব দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। চেন্নাই সুপার কিংসের ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যাট করতে আসেন ধোনি। তখন ইনিংসের আর ৪ বল বাকি। হার্দিক পান্ডিয়ার বিরুদ্ধে এই ৪টি বলই খেলার সুযোগ পান ধোনি। এবং ক্রিজে এসেই টানা তিনটি ছক্কা হাঁকান। শেষ বলে নেন ২ রান। ৪ বল খেলে করেন মোট ২০ রান। আর সেই সঙ্গেই ওয়াংখেড়েতে উপস্থিত প্রতিটি দর্শকেরা আবারও ২০১১ বিশ্বকাপ ফাইনালের স্মৃতিতে হারিয়ে গিয়েছিলেন। পরপর তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৮-৮০- সব ভক্তদের মন জয় করেন মাহি।
আরও পড়ুন: বুমরাহের বিরুদ্ধে ২-৩ বছর ধরে নেটে খেলেন না সূর্য- কারণটা নিজেই ফাঁস করলেন MI তারকা
প্যাভিলিয়নে ফেরার সময় ভক্তকে উপহার দিলেন ধোনি
ধোনি যখন ৪ বলে অপরাজিত ২০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নের দিকে যাচ্ছিলেন, সেই সময়ে ড্রেসিংরুমের সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময়ে এক খুদেকে দেখতে পান। তিনি সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময়ে একটি বল তুলে নিয়ে, সেটি সেই খুদে মেয়েকে উপহার দেন। এই বলেই তিনি হার্দিকের বিরুদ্ধে ছক্কার হ্যাটট্রিক করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিয়ো বেশ ভাইরাল হয়েছে। ভক্তরা ধোনির এমন সৌজন্যে মুগ্ধ।
ধোনির কেরামতি
রবিবার মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ধোনি যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তখন সিএসকে-র রান ছিল ৪ উইকেটে ১৮৬। ২০তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ড্যারিল মিচেল আউট হওয়ার পর ক্রিজে আসেন ধোনি। সেই ওভারে বল করছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। হার্দিকের শেষ চার বলের মধ্যে প্রথম তিনটিতে ছক্কা হাঁকান। শেষ বলে নেন ২ রান। চেন্নাই সুপার কিংসের স্কোর এক লাফে চলে যায় ২০৬-এ। নিঃসন্দেহে ধোনির এই ইনিংসই সিএসকে-র জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। ১৩ বছর আগে এই স্টেডিয়ামেই ছক্কা হাঁকিয়ে বিশ্বকাপ জিতিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন কুল। এক দশক পর তাঁর ছয়ের হ্যাটট্রিকই ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেয়।
আরও পড়ুন: টপলি যেন ‘উড়ন্ত বাজ’, বাঁ-দিকে লাফিয়ে এক হাতে রোহিতের ক্যাচ ধরলেন, ভাইরাল হল ভিডিয়ো
ম্যাচের সংক্ষিপ্ত ফল
এদিন টস জিতে সিএসকে-কে ব্যাট করতে পাঠায় হার্দিক। দলের ৮ রানেই অজিঙ্কা রাহানের (৮ বলে ৫) উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় চেন্নাই সুপার কিংস। রাচিন রবীন্দ্রও (১৬ বলে ২১) নিরাশ করেন। তবে তৃতীয় উইকেটে হাল ধরেন রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং শিবম দুবে। ৪০ বলে ৬৯ করে রুতু আউট হলেও, শিবম শেষ পর্যন্ত ক্রিজে টিকে থেকে লড়াই করেন। তিনি ৩৮ বলে ৬৬ করে অপরাজিত থাকেন। মিচেল ১৪ বলে ১৭ রান করেন। তবে শেষ পাতে ধোনির ৪ বলে ২০ রান সিএসকে-কে দু'শোর গণ্ডি টপকাতে সাহায্য করে।
রান তাড়া করতে নেমে দুরন্ত সেঞ্চুরি হাঁকান রোহিত শর্মা। তার পরেও অবশ্য মুম্বইয়ের হার এড়াতে পারলেন না হিটম্যান। বল হাতে চেন্নাইয়ের জয় নিশ্চিত করেন মাথিশা পথিরানা। ২৮ বলে ৪ উইকেট নেন তিনি। ওয়াংখেড়েতে এর আগে ২০০ রান তাড়া করে জেতার নজির আছে। কিন্তু এদিন শ্রীলঙ্কান পেসারের বলে কুপোকাত মুম্বই। ৬৩ বলে ১০৫ করে অপরাজিত থাকেন মুম্বইয়ের প্রাক্তন অধিনায়ক। তবু ২০ রানে হারতে হয় হার্দিকের দলকে। রোহিত ছাড়া সেভাবে মুম্বইয়ের কেউ বড় রান করতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ করেন তিল বর্মা (২০ বলে ৩১ রান)। ইশান কিষান করেন ১৫ বলে ২৩ রান। ৫ বলে ১৩ করেন টিম ডেভিড। বাকিরা তো এক অঙ্কেই গড়াগড়ি খেয়েছেন। ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৬-তে শেষ হয় মুম্বইয়ের ইনিংস।