ওডিআই বিশ্বকাপ শুরু হতে আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। বিশ্ব ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় টুর্নামেন্টের জন্য যখন সব দল প্রস্তুতি নিচ্ছে, ঠিক তখনই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নেমেছে ইংল্যান্ড। কিউয়িদের বিরুদ্ধে চারটি টি-টোয়েন্টি এবং চারটি ওডিআই ম্যাচের সিরিজ খেলবে ইংল্যান্ড। বর্তমানে দুই দল টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেললেও তাদের টার্গেট ওডিআই বিশ্বকাপের প্রস্তুতি। কারণ বিশ্বকাপ শুরু হতে বেশিদিন বাকি নেই। ফলে এখন থেকেই তার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে দুই দল।
চেস্টার-লে-স্ট্রিটে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে মুখোমুখি হয় দুই দল। আর এই ম্যাচে কিউয়িদের ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দিয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল ইংরেজরা। এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেয় ইংল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়ে কিউয়িদের ১৩৯ রানে বেঁধে রাখতে সক্ষম হয় ইংল্যান্ডের বোলাররা। এদিন শুরু থেকেই দাপট দেখাতে থাকে ইংল্যান্ডের বোলাররা। ফলে ফিন অ্যালেন শুরুটা ভালো করলেও তা দীর্ঘায়িত করতে পারেননি তিনি। ১৫ বলে ২১ রান করে ফিরে যান। এমনকী তাঁর সঙ্গে ওপেন করতে নামা ডেভন কনওয়েও মাত্র ৩ রান করেন।
শুরুতে ছন্দ না থাকলেও পরে কিছুটা হলেও ছন্দে ফেরে নিউজিল্যান্ড। ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন গ্লেন ফিলিপস। ৩৮ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। বড় রান করলেও তাঁর রানের গতি ছিল খুবই ধীর। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৪টি বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া ইশ সোধি ১৬ রানের ইনিংস খেলেছে। নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংলাইপে আর কেউ সেইভাবে রান করতেই পারেননি। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান তোলে কিউয়িরা। তিনটি করে উইকেট নেন লুক উড এবং ব্রাইডন কার্স। ৪ ওভার বলে ১১ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন কার্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে টিম সাউদির বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে যান জনি বেয়ারস্টো। শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। যদিও পরিস্থিতি বদল হতে খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। এরপরই ব্যাট করতে নামা ডেভিড মালান দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৪২ বলে ৫৪ রান করেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। শুধু মালান একা নন,হ্যারি ব্রুকও দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। দলকে জেতাতে বড় ভূমিকা পালন করেন তিনি। ২৭ বলে ৪৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসি সাজানো ছিল মাত্র ২টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। মাত্র ১৪ ওভারেই তিন উইকেট হারিয়ে জয়ের নির্ধারিত রান তুলে নেয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ব্রাইডন কার্স।