উইমেন্স প্রিমিয়র লিগে গত ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এই ম্যাচে প্রথম থেকে দাপুটে পারফরম্যান্স করে মুম্বইয়ের ব্যাটার এবং বোলাররা। আর তাতেই ৪২ রানে জিতল মুম্বই। সৌজন্যে স্কিভার ব্রান্টের লড়াকু ইনিংস এবং সাইকা ইশাকের দুর্দান্ত বোলিং। অন্যদিকে, হেরে গিয়ে ব্যাকফুটে চলে গেল ইউপি ওয়ারিয়ার্সের মেয়েরা। যদিও ব্যাট হাতে দীপ্তি শর্মা কিছুটা লড়াই করেন ঠিকই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুলতে পারেননি প্রয়োজনীয় রান। ২০ ওভার শেষে তাদের রান দাড়ায় ৯ উইকেটে ১১৮। দীপ্তি শর্মা একাই করেন ৫৩ রান ৩৬ বল খেলে, যার মধ্যে রয়েছে ৬টি চার এবং ২টি ওভার বাউন্ডারি। এমনকী ম্যাচের শেষ বলে একটি ছয় মারেন তিনি।
বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ৭ মার্চ দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ও ইউপি ওয়ারিয়ার্স। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় মুম্বই। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা তোলে ১৬০ রান। দলের কোনও ব্যাটারই অর্ধশতরান করতে পারেননি। সর্বোচ্চ ৪৫ রানের একটি সাজানো ইনিংস খেলেন ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট। এছাড়া অ্যামেলিয়া কের করেন ৩৯ এবং হরমনপ্রীত কৌর ৩৩ রান করেন। ইউপির বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট নেন চামারি আথাপাত্তু এবং একটি করে উইকেট তোলেন রাজেশ্বরী গায়েকওয়াড়, দীপ্তি শর্মা ও সাইমা ঠাকুর।
জবাবে রান তারা করতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি ইউপি ওয়ারিয়ার্সের। ১০০ রানের গণ্ডি ছোঁয়ার আগেই ৭টি উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। সর্বোচ্চ ৫৩ রানের ইনিংস খেলেন দীপ্তি শর্মা। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি বাউন্ডারি এবং দুটি ওভার বাউন্ডারি। মুম্বইয়ের বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট তোলেন সাইকা, দুটি ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট এবং একটি করে উইকেট পান শবনম ইসমাইল, ম্যাথিউজ, পূজা বস্ত্রকার ও সাজিভন। ম্যাচের সেরা হন ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট।
প্রসঙ্গত, ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ন্যাট স্কিভার ব্রান্ট জানান যে তিনি ও গোটা দল অত্যন্ত খুশি ম্যাচটি জিততে পেরে। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন যে প্রথম থেকেই দলের লক্ষ্য ছিল ১৬০ রানের গন্ডি ছোঁয়া। এরপর তিনি বোলারদের প্রশংসাও করেন এবং জানান যে আশা করি এই জয় নেট রান রেটে কাজে লাগবে।