আইপিএলের ট্রফি জেতা হয়ে গিয়েছে পাঁচবার। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ টি-২০'র খেতাব রয়েছে একজোড়া। উদ্বোধনী মরশুমে মেজর লিগ ক্রিকেটেও বিজয় পতাকা উড়িয়েছে এমআই ফ্র্যাঞ্চাইজি। এবার আমিরশাহির টি-২০ লিগের ট্রফি নিজেদের দখলে নিল তারা। এসএ-২০'তে দু'বারই লাস্টবয় হওয়ার হতাশা কাটিয়ে আইএল টি-২০ চ্যাম্পিয়ন হল এমআই এমিরেটস।
শনিবার ফাইনালে দুবাই ক্যাপিটালসকে হারিয়ে ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-২০'র খেতাব জিতল এমআই ফ্র্যাঞ্চাইজি। ক্যাপ্টেন নিকোলাস পুরানের ব্যাটে ভর করেই টুর্নামেন্টের শেষ হার্ডল টপকে যায় এমিরেটস। যদিও বল হাতে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন ট্রেন্ট বোল্ট।
দুবাই ইন্টারন্য়াশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে টস হারে এমআই এমিরেটস। টস জিতে দুবাই দলনায়ক স্যাম বিলিংস শুরুতে ব্যাট করতে পাঠায় এমআইকে। আন্দ্রে ফ্লেচার ও নিকোলাস পুরানের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে এমিরেটস নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ২০৮ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে।
ওপেন করতে নেমে মহম্মদ ওয়াসিম ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। অপর ওপেনার কুশল পেরেরা করেন ২৫ বলে ৩৮ রান। তিনি ৬টি চার মারেন। আন্দ্রে ফ্লেচার ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ৩৭ বলে ৫৩ রান করে মাঠ ছাড়েন।
আরও পড়ুন:- Yashasvi Jaiswal: যশস্বী জসওয়ালের সেরা ১০ আন্তর্জাতিক ইনিংস
ক্যাপ্টেন পুরান ব্যাট হাতে রীতিমতো তাণ্ডব চালান। তিনি ২টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৬ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশতরান পূর্ণ করেন। শেষ পর্যন্ত ২টি চার ও হাফ-ডজন ছক্কার সাহায্যে ২৭ বলে ৫৭ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে নট-আউট থাকেন এমআই দলনায়ক। কায়রন পোলার্ড ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৭ বলে ৯ রান করে নট-আউট থাকেন। দুবাই ক্যাপিটালসের ওলি স্টোন, সিকন্দর রাজা ও জাহির খান ১টি করে উইকেট দখল করেন। উইকেট পাননি জেসন হোল্ডার।
আরও পড়ুন:- Manoj Tiwary Retirement: বর্ণোজ্জ্বল কেরিয়ারে ইতি! মনোজের সেরা ১০ কৃতিত্ব
পালটা ব্যাট করতে নেমে ক্য়াপিটালস ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। ফলে ৪৫ রানের বড় ব্যবধানে ম্যাচ জেতে এমিরেটস। ২৯ বলে ৪০ রান করেন স্যাম বিলিংস। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ২০ বলে ৩৫ রান করেন টম ব্যান্টন। তিনি ১টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। জেসন হোল্ডার ২৪ ও সিকন্দর রাজা ১০ রানের যোগদান রাখেন।
ট্রেন্ট বোল্ট ৪ ওভারে ২০ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন বিজয়কান্ত। ম্যাচের সেরা হন নিকোলাস পুরান। ৩১৩ রান করার পাশপাশি ১৩টি উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা হন সিকন্দর রাজা।