তারকাদের সম্পর্ক ভাঙা-গড়া নিয়ে খবর কখনোই চাপা থাকে না। ২০২১ সাল থেকেই শোনা যাচ্ছে, বরখা বিস্ত আর ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তের জীবনে ভাঙন আসার খবর। তবে অফিসিয়াল ডিভোর্সটা কি আদৌ হয়েছে?
১০ মে দ্বিতীয়বার ফেলুদা হিসেবে হলে আসছেন ইন্দ্রনীল। মুক্তি পাওয়ার অপেক্ষায় নয়ন রহস্য। অভিনেতাকে হত্যাপুরী-তে দেখে ফেলুদা হিসেবে কেউ কেউ সেই সময় মেনে নিতে পারেননি! এবারেও চ্যালেঞ্জটা বেশ কঠিনই হবে।
তবে কাজের জীবনের বাইরেও, ইন্দ্রনীলের কাছে আরেক বড় চ্যালেঞ্জ অবশ্যই তাঁর ব্যাক্তিগত জীবন নিয়ে অনবরত আলোচনা। তিনি আর বরখা প্রায় ৩ বছর ধরে সেপারেশনে। একটি সাড়ে নয় বছরের মেয়ে আছে দম্পতির। সামাজিক মাধ্যমে রীতিমতো কাঁটাছেড়া হয় ইন্দ্রনীলের চরিত্র। কীভাবে সামলাচ্ছেন সবটা?
আরও পড়ুন: ছোট থেকে ডায়াবেটিক, মা হওয়ার পর ৩২ কেজি ওজন বাড়া! রোগা হতে কী করেন সোনম
সন্দীপ রায়ের নতুন ফেলুদা প্রতিদিনকে জানালেন, ‘ব্যক্তিগত জীবনটা পাবলিক ডোমেনে করার ইচ্ছে ছিল না আমার কখনোই। সেই চিন্তাভাবনা এখনও বদলায়নি। অনেক কথাই হয়। তবে তাতে আমি অন্তত ভাগ নেই না।’ সঙ্গে অভিনেতা স্পষ্ট করে দিলেন যে শুধু ছাদ আলাদা হয়নি, তাঁরা আইনত ডিভোর্সের পথেই হেঁটেছেন। এবং অনেকটা এগিয়েওছে প্রক্রিয়া।
আরও পড়ুন: হাতে স্প্লিন্ট অক্ষয়ের! চোট পেলেন নাকি খিলাড়ি, উদ্বিঘ্ন ভক্তরা
তবে ইন্দ্রনীলের সবচেয়ে বড় শান্তি হল তাঁদের বারো বছরের মেয়ে খুব পরিণত, মা-বাবার আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত বুঝতে সমস্যা হয়নি তার। অভিনেতা জানালেন, ‘আমাদের বয়সী লোকেরা যে ইম্যাচিউরিটি দেখিয়েছে। আমাদের সহকর্মী বা চারপাশের মানুষরা, যে ধরনের পোলারাইজড মন্তব্য করেছে, তাদের থেকে অনেক বেশি পরিণত মীরা। তখন ওর বয়স সাড়ে নয় (যখন থেকে আলাদা চলা শুরু)। প্রাপ্তবয়স্কদের ওদের থেকে শেখা উচিত। কীভাবে নিউট্রাল থাকতে হয়। ওরা কোনও পক্ষই নেয় না, যতক্ষণ না ওদের চারাচাপি করা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ‘পনোতি’ দর্শনা, KKR-এর হারের কারণ! বউয়ের ট্রোলে রাগলেন সৌরভ, ট্রোলে কড়া জবাব
তবে মায়ের সঙ্গেই থাকে সে। ইন্দ্রনীল কাজের ফাঁকে সময় পেলেই ছুটে যান মেয়ের কাছে। রেস্তোরাঁ ডেটও চলে বাবা-মেয়ের। অভিনেতা জানালেন, মেয়ের সঙ্গে এখন তাঁর খোলাখুলি সম্পর্ক। মন খুলে কথা বলেন তাঁরা। তবে যেহেতু এখন বয়ঃসন্ধির সময়, ইন্দ্রনীল চান মীরা মায়ের সঙ্গেই থাকুক। কারণ এমন অনেক জিনিস থাকে, যা মায়েরাই বোঝাতে পারেন মেয়েদের বেশি ভালো করে। মা না থাকলে, অনেক বাবাও করে। তবে মায়ের জায়গাটা নিতে চান না কখনোই।