চলছে ২০২৪ লোকসভা ভোটের পর্ব। সদ্য দ্বিতীয় দফায় ভোট ছিল মণিপুরে। সেখানে ভোট মিটতেই মণিপুরের বিষ্ণুপুর জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর ওপর অতর্কিত হানা দেয় সন্দেহভাজন জঙ্গিরা। পাহাড়ের উপর নারাইনসেনা গ্রাম থেকে গুলি চালাতে চালাতে জঙ্গিরা উপত্যকার দিকে এগোয় বলে খবর। এদিন ভোররাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টার্গেট করে গুলি চালিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
গোটা ঘটনায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর একাধিক জওয়ান আহত হয়েছেন। শহিদ হয়েছেন ২ জন। সন্দেহ করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর কুকি জঙ্গিরা হামলা করেছে। প্রথমে জঙ্গিরা পাহাড় বেয়ে গুলি করতে করতে এগিয়ে আসে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে। দুই পক্ষের ব্যাপক গোলাগুলি চলে। একটা সময় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে টার্গেট করে বোমা নিক্ষেপ করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনীর আউটপোস্টে সেই বোমা পড়ে। তা বিস্ফোরণ হতেই মুহূর্তে বহু জওয়ান আহত হন। ২ জনের মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে, বাকি ২ জনওয়ানের চিকিৎসা চলছে। উল্লেখ্য, আর ৬ দিন পর মণিপুরের হিংসার এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি পাহাড়ে লুকিয়ে রয়েছে। আর সেখান থেকে তারা হামলা চালাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, যে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা সিআরপিএফএর সদস্য। তাঁরা সিআরপিএফের ১২৮ ব্যাটালিয়ানের সদস্য ছিলেন। তাঁরা মণিপুরের নারাসেইনা স্টেশনে মোতায়েন ছিলেন। কর্তব্যরত অবস্থায় তাঁদের ওপর হামলা করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, ঘটনায় আহত হয়েছেন ইন্সপেক্টর যাদব দাস ও আফতাব দাস। শহিদ হয়েছেন, সিআরপিএফের সাব ইনস্পেক্টর এন সরকার ও কনস্টেবল অরূপ সাইনি। জানা গিয়েছেস পাহাড়ের কোল থেকে মাঝ রাত থেকে ওই হামলাকারীরা হামলা চালাতে শুরু করে। রাত ২.১৫ পর্যন্ত চলে হামলা। ভোটের জন্য ইন্ডিয়ান রিজার্ভ ব্যাটেলিয়ান ক্যাম্পে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সদস্যরা। তাঁরা সেখানে ভোটের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন। সেখানেই এই অতর্কিত হামলা হয়েছে। যেখানে এই ক্যাম্প ছিল, তা পাহাড় থেকে ২ কিলোমিটার দূরে। আপার ক্যানেলের ক্যাম্প থেকে ১ কিলোমিটার দূরে। বলা হচ্ছে, গত বছর মে মাসে এখানে হিংসার আগুন জ্বলেছিল, সেই জায়গা থেকে এই এলাকা বেশ সংবেদনশীল।