জমে গিয়েছে ভারত বনাম ইংল্যান্ডের মধ্যে চলতি পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ। একটি করে ম্যাচ জিতে নিয়েছে দুই দল। অর্থাৎ এই মুহূর্তে ফলাফল ১-১। এই পর্যন্ত থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু নজরকাড়া পারফরম্যান্স, সে ব্যাট হাতে হোক কি বল হাতে। এছাড়াও ব্যাজবল ক্রিকেট আনন্দ দিয়েছে সকল ক্রিকেটপ্রেমীদের। টেস্ট ক্রিকেটে টি২০ ফরম্যাটের মতো ব্যাটিং চলছে, এমনটাই মনে করছেন ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা।
তবে চলতি সিরিজ থেকে একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে নিজের মুখ খুললেন টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন মেন্টাল কন্ডিশনিং কোচ প্যাডি আপটন। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করলেন যে টেস্ট ক্রিকেটে একাগ্রতা ও টি২০ ক্রিকেটে একাগ্রতার মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, তিনি আরও দাবি করলেন যে টি২০ ক্রিকেটে একাগ্রতার মাত্রা চরম থাকে এবং টেস্টে সেই একাগ্রতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়।
প্যাডি আপটন বলেন, 'দেখুন আপনি যদি আমাকে টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ সময়ের ইনিংস খেলা সম্পর্কে প্রশ্ন করেন তাহলে এক্ষেত্রে আমি একটাই কথা বলবো যে টেস্ট ক্রিকেটে ও টি২০ ক্রিকেটে একাগ্রতার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। টি২০ ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যে একাগ্রতার মাত্রা সেটা অনেক বেশি থাকে কারণ সবসময়ে আপনার মাথায় এই জিনিসটাই কাজ করে যে স্কোরবোর্ডে এখনও কত রান বাকি বা বোলার পরের বলটা কি করবে। অন্যদিকে টেস্ট ক্রিকেটের ক্ষেত্রে যেটা হয় গিয়ে কি আমাদের মধ্যে যে একাগ্রতা থাকে সেটা নিয়ন্ত্রণে থাকে কারণ ওখানে রান তাড়া করার কোন চাপ থাকে না। এছাড়াও নিজের ইনিংস গুছিয়ে নেওয়ার মতো সময়টাও অনেক থাকে।'
পাশাপাশি, এই সাক্ষাৎকারে প্যাডি আপটনকে প্রশ্ন করা হয় যে ব্রেক টাইমে কি করে একাগ্রতা বজায় রাখতে হয় ক্রিকেটারদের। সেই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, 'দেখুন ক্রিকেটের যেকোন ফরম্যাটে ব্রেক আসেই। সেই সময় যেটা করতে হয় সেটা হলো ব্রেকের আগে কি হয়েছে, সবকিছু ভুলে যেতে হয়। যারা তখনো এগুলো নিয়ে চিন্তা করতে থাকে, তাদের ক্ষেত্রে যে সমস্যাটা হয় সেটা হলো যে তারাফের চাপ নিয়ে খেলতে নামে এবং একটা ভুল করে বসে। বিশেষ করে লাল-বল ক্রিকেটের ক্ষেত্রে এই জিনিসটার জন্য সময় ও অভিজ্ঞতা দুটোই খুব লাগে।'