দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপ টাউন টেস্টের প্রথম ইনিংসে একসময় ৪ উইকেট ১৫৩ রান তুলে ফেলে ভারত। ঠিক তার পরে ১১টি বলে কোনও রান যোগ না করেই ভারত প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয়ে যায় সেই ১৫৩ রানে। শূন্য রানে ৬ উইকেট হারানোর নজির আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম হলেও চলতি সপ্তাহে তাসের ঘরের মতো ব্য়াটিং ইনিংস ভেঙে পড়ার ঘটনা এটিই একমাত্র নয়। বরং অস্ট্রেলিয়া বনাম পাকিস্তান সিডনি টেস্টের ২টি ইনিংসে চোখে পড়ে এমন চমকে দেওয়া ব্য়াটিং বিপর্যয়।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিডনি টেস্টের প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া একসময় ৫ উইকেটে ২৮৯ রান তুলে ফেলে। ইনিংসের ১০৬.২ ওভারে অ্যালেক্স ক্যারি আউট হওয়ার পরেই তাসের ঘরের মতো ধসে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া অল-আউট হয় ১০৯.৪ ওভারে ২৯৯ রানে। অর্থাৎ, ২০টি বলের মধ্য়ে মাত্র ১০ রান যোগ করে শেষ ৫টি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
এবার পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ভয়ানক ব্যাটিং ভরাডুবির মুখে পড়ে। পাকিস্তান প্রথমে দলগত ১ রানে ২ উইকেট হারায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে একসময় তারা ২ উইকেটে ৫৮ রান তুলে ফেলে। ১৭.৪ ওভারে সইম আয়ুব আউট হওয়ার পরেই ধস নামে পাকিস্তানের ইনিংসে। তারা ২৪.৫ ওভারে দলগত ৬৭ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারায়। অর্থাৎ, ৯ রানের মধ্যে ৫টি উইকেট খোয়ায় পাকিস্তান।
স্বাভাবিকভাবেই সিডনি টেস্টে কোণঠাসা হয়ে পড়েন শান মাসুদরা। পাকিস্তানের ৩১৩ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ২৯৯ রানে। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৪ রানের ছোটখাটো লিড পেয়ে যায় পাকিস্তান। তবে খুব বেশিক্ষণ চালকের আসনে থাকতে পারেনি তারা। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিনের শেষে পাকিস্তানের স্কোর ৭ উইকেটে ৬৮ রান। অর্থাৎ, মোটে ৮২ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।
মহম্মদ রিজওয়ান ৬ রানে অপরাজিত রয়েছেন। তিনিই এখন পাকিস্তানের একমাত্র ভরসা। প্রথম ইনিংসে ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করা আমের জামাল ৩ বল খেলে এখনও খাতা খুলতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তানের চারজন ব্যাটার শূন্য রানে আউট হন। সেই তালিকায় রয়েছেন আবদুল্লা শফিক, শান মাসুদ, সাজিদ খান ও আঘা সলমন। বাবর আজম ২৩ রান করে মাঠ ছাড়েন। জোশ হেজেলউড ৪টি উইকেট নিয়েছেন।