ঘরের মাঠে জয়ের জন্য রেলওয়েজের সামনে বড়সড় লক্ষ্যমাত্রা ঝুলিয়ে দিয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহার নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা। জিততে হলে রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে রেকর্ড রান তাড়া করতে হতো রেলওয়েজকে। প্রথম ইনিংসে কোনও রকমে ১০০ টপকে অল-আউট হওয়া দল শেষ ইনিংসে পৌনে চারশো রান তাড়া করে ম্যাচ জিতবে, এমনটা ভাবা খুব সহজ ছিল না ক্রিকেটপ্রেমীদের পক্ষে।
তবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের এক প্রাক্তন তারকা বদলে দেন সবার ধারণা। অভিজ্ঞ ওপেনারের ব্যাটে ভর করে অসাধ্যসাধন করে রেলওয়েজ। রঞ্জি ট্রফির ইতিহাসে সব থেকে বেশি রান তাড়া করে ম্য়াচ জয়ের সর্বকালীন রেকর্ড গড়ে তারা।
আগরতলায় রঞ্জি ট্রফির এলিট-সি গ্রুপের ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে ত্রিপুরা ও রেলওয়েজ। ঘরের মাঠে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ত্রিপুরা। তারা প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রান সংগ্রহ করে। ৭১ রান করেন শ্রীদাম পাল। সুদীপ চট্টোপাধ্যায় ৫ ও ঋদ্ধিমান সাহা ১ রান করে আউট হন। যুবরাজ সিং ৪টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে রেলওয়েজ ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অরিন্দম ঘোষ ৬২ ও প্রথম সিং ২০ রান করেন। ৪ রান করেন ক্যাপ্টেন উপেন্দ্র যাদব। ত্রিপুরার মণিশঙ্কর মুরাসিং ৫টি উইকেট দখল করেন। ৩টি উইকেট নেন বিক্রমজিৎ দেবনাথ।
আরও পড়ুন:- ‘সুযোগ পেলে ধোনিকে জিজ্ঞাসা করব, কেন বাদ পড়তে হয়েছিল আমাকে?’, শেষ দিনেও অভিমানী মনোজ
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৪৪ রানে এগিয় থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ত্রিপুরা। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৩৩ রান তোলে। নিশ্চিত শতরান হাতছাড়া করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। তিনি ৯৫ রান করে আউট হয়ে বসেন। ৬২ রান করেন গণেশ সতীশ। ঋদ্ধিমান সাহা ৫ রান করেন। ৪টি করে উইকেট নেন যুবরাজ সিং ও হিমাংশু সাঙ্গওয়ান।
আরও পড়ুন:- IND vs ENG: ‘সেরা তারকাকে’ চতুর্থ টেস্টে বসিয়ে দিতে চলেছে ভারত! দলে ঢুকবেন কে?
জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে রেলওয়েজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৩৭৮ রানের। রঞ্জি ট্রফিতে এত রান তাড়া করে ম্যাচ জেতেনি আর কোনও দল। সুতরাং, কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। শেষমেশ ৫ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৩৭৮ রান সংগ্রহ করে নেয় রেলওয়েজ। ৫ উইকেটে ম্যাচ জিতে ইতিহাস গড়ে তারা।
একদা কলকাতা নাইট রাইডার্স শিবিরে থাকা প্রথম সিং ১৬৯ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। ৩০০ বলের ম্যাচ জেতানো ইনিংসে তিনি ১৬টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১০৬ রান করেন মহম্মদ সইফ। অরিন্দম ঘোষ ৪০ ও উপেন্দ্র যাদব অপরাজিত ২৭ রান করেন। মুরাসিং দ্বিতীয় ইনিংসে ৩টি উইকেট দখল করেন।