সামারসেটের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত দ্বিশতরানের পরে এবার ডারহ্যামের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক সেঞ্চুরি পৃথ্বী শ-র। কাউন্টিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে নর্দাম্পটনশায়ারকে জেতালেন ভারতীয় তারকা।
ডারহ্যামের ঝুলিয়ে দেওয়া ছোটখাটো লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে নর্দাম্পটনশায়ার শুরু থেকেই ঝড় তোলে। সৌজন্যে ব্যাট হাতে পৃথ্বীর তাণ্ডব। রবিবার চেস্টার লে স্ট্রিটে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন পৃথ্বী। তিনি শতরানের গণ্ডি টপকাতে খচর করেন মাত্র ৬৮টি বল। সাহায্য নেন ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কার।
অর্থাৎ, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে পৃথ্বীর লাগে মাত্র ২৭টি বল। মাঝে ইনিংসের ২১তম ওভারে স্কট বর্থউইকের বলে ২টি ছক্কা ও ৩টি চারের সাহায্যে ২৪ রান সংগ্রহ করেন তিনি। সেই ওভারের শেষ ৫টি বলে যথাক্রমে ৬, ৪, ৪, ৪ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন পৃথ্বী। শেষমেশ ১৫টি চার ও ৭টি ছক্কার সাহায্যে ৭৬ বলে ১২৫ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ২৩ বছর বয়সী ভারতীয় ওপেনার।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জয়ের জন্য নর্দাম্পটনশায়ারের দরকার ছিল ১৯৯ রান। তারা ২৫.৪ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ২০৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৪৬ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জেতে নর্দাম্পটনশায়ার। পৃথ্বী একাই অর্ধেকের বেশি রান সংগ্রহ করেন। উল্লেখ্য, সামারসেটের বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ২৮টি চার ও ১১টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৩ বলে ২৪৪ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে আউট হন পৃথ্বী।
শুরুতে ব্যাট করে ডারহ্যাম ৪৩.২ ওভারে ১৯৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে লিয়াম ট্রেভাস্কিস দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৭ রান করেন। ক্যাপ্টেন অ্যালেক্স লিস করেন ৩৪ রান। এছাড়া জোনাথন বুশনেল ৩২, স্কট বর্থউইক ২০, মিগায়েল প্রিটোরিয়াস ২০, ডেভিড বেডিংহ্যাম ১৫ ও গ্রাহাম ক্লার্ক ১৩ রানের যোগদান রাখেন।
নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ৩৪ রানে ৪ উইকেট নেন লিউক প্রক্টার। ২টি করে উইকেট নেন জেমস সেলস ও রব কেঘ। ১টি করে উইকেট দখল করেন জ্যাক হোয়াইট ও সাইমন কেরিগান।
নর্দাম্পটনের হয়ে ব্যাট হাতে পৃথ্বীর শতরান ছাড়া ৪২ রানের যোগদান রাখেন রব। ১৭ রান করেন এমিলিয় গে। ডারহ্যামের জর্জ ৪৬ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট দখল করেন। ১টি উইকেট নেন জোনাথন।