শুভব্রত মুখার্জি: মহম্মদ আমির, মহম্মদ আসিফ এবং সলমন বাট এই ত্রয়ীর ম্যাচ গড়াপেটা কান্ড নিয়ে একটা সময়ে তোলপাড় হয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট। এই ঘটনার রেশ কাটিয়ে আমির ফিরে আসেন জাতীয় দলে। তবে আসিফ এবং বাটের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা আর সেই ভাবে সম্ভব হয়নি। ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত সেই সলমন বাটকেই এবার পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ পিসিবির তরফে জায়গা দেওয়া হয়েছে জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে। অর্থাৎ পাকিস্তানের বিভিন্ন বিভাগের দল নির্বাচনে এবার থেকে ভূমিকা থাকবে সলমন বাটের। পাকিস্তান ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরুর আগেই পিসিবির এমন সিদ্ধান্তে রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
৩৯ বছর বয়সী এই প্রাক্তন ক্রিকেটার ম্যাচ গড়াপেটার সাজা শেষ করে ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফের ফেরত এসেছিলেন। পিসিবি এর পাশাপাশি আরও বিতর্কিত একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাটের পাশাপাশি আর এক বিতর্কিত ক্রিকেটার কামরান আকমল এবং রাও ইফতিকার অঞ্জুমকেও জায়গা দেওয়া হয়েছে জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে। প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজকে তাঁর কাজে সহায়তা করবে এই নির্বাচক প্যানেল। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের অগস্টে স্পট ফিক্সিং কান্ডে জড়িত থাকার কারণে পাঁচ বছর নিষিদ্ধ থাকতে হয়েছে সলমন বাটকে। আর পিসিবির এই সিদ্ধান্তকেই রীতিমতো একহাত নিয়েছেন প্রাক্তন পিসিবি চেয়ারম্যান রামিজ রাজা।
আরও পড়ুন: রিঙ্কু, অক্ষরের সৌজন্যে নেতৃত্বের হাতেখড়িতেই টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় সূর্যের
রামিজ রাজার দাবি, ‘এটা পাগলামি ছাড়া আর কিছু নয়। একটা জাতীয় নির্বাচক প্যানেলে কী করে একজন (সলমন বাট) ম্যাচ গড়াপেটায় অভিযুক্ত একজনকে এবং আর একজন (কামরান আকমল), যার ক্রিকেট মাঠে আচরণ নিয়ে বারবার প্রশ্ন উঠেছে তারা থাকতে পারে! আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয়, তাহলে আমি একটা কথাই বলব, আর তা হল এই কলঙ্কিত ক্রিকেটারদের নিজেদের মুদির দোকান খুলে বসা উচিত। এদের ক্রিকেটে ফেরার কোনও যোগ্যতা নেই। আমার এতে কোন সন্দেহ নেই যে বড় বড় নামকে তাদের খ্যাতির ভিত্তিতে যে সব ছাড় দেওয়া হচ্ছে, তা আখেড়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভালোর জন্য নয় ,ক্ষতিই করছে।’