ক্যাপ্টেন অক্ষয় ওয়াদকরের ব্যাটে ভর করে বিদর্ভ শেষ ইনিংসে চোয়ালচাপা লড়াই চালায় বটে, তবে মুম্বইয়ের গড়ে তোলা রানের পাহাড় টপকানো সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। রঞ্জি ফাইনালে বিদর্ভকে বড় ব্যবধানে পরাজিত করে ফের চ্যাম্পিয়ন হয় মুম্বই। এই নিয়ে মোট ৪২ বার রঞ্জি ট্রফির খেতাব ঘরে তোলে তারা।
ওয়াংখেড়েতে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মুম্বই তাদের প্রথম ইনিংসে ২২৪ রানে অল-আউট হয়। শার্দুল ঠাকুর ৭৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন। ৪৬ রান করেন পৃথ্বী শ। ৩টি করে উইকেট নেন হর্ষ দুবে ও যশ ঠাকুর।
পালটা ব্যাট করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বিদর্ভ। তারা নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১০৫ রানে অল-আউট হয়ে যায়। অথর্ব টাইডে ২৩ ও যশ রাঠোর ২৭ রান করেন। ৩টি করে উইকেট নেন ধাওয়াল কুলকার্নি, শামস মুলানি ও তনুষ কোটিয়ান। অর্থাৎ, প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৯ রানে এগিয়ে থাকে মুম্বই।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অজিঙ্কা রাহানেরা সংগ্রহ করেন ৪১৮ রান। মুশির খান ১৩৬, শ্রেয়স আইয়ার ৯৫, অজিঙ্কা রাহানে ৭৩ ও শামস মুলানি ৫০ রান করেন। ১১ রানে আউট হন পৃথ্বী শ। হর্ষ দুবে ৫টি ও যশ ঠাকুর ৩টি উইকেট দখল করেন।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে বিদর্ভের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫৩৮ রানের। বিদর্ভ তাদের শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ৩৬৮ রানে। ১৬৯ রানের বড় ব্যবধানে বিদর্ভকে হারিয়ে এবারের রঞ্জি ট্রফির খেতাব জেতে মুম্বই।
শেষ ইনিংসে বিদর্ভের হয়ে লড়াকু শতরান করেন ক্যাপ্টেন অক্ষয় ওয়াদকর। তিনি ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১৯৯ বলে ১০২ রান করে আউট হন। ২২০ বলে ৭৪ রান করেন করুণ নায়ার। মারেন ৩টি চার। হর্ষ দুবে ১২৮ বলে ৬৫ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
অথর্ব টাইডে ৩২, ধ্রুব শোরে ২৮, আমন মখাড়ে ৩২, যশ রাঠোর ৭, উমেশ যাদব ৬ ও যশ ঠকুর ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শেষ ইনিংসে মুম্বইয়ের হয়ে ৪টি উইকেট নেন তনুষ কোটিয়ান। ২টি করে উইকেট দখল করেন তুষার দেশপান্ডে ও মুশির খান। ১টি করে উইকেট নেন শার্দুল ঠাকুর ও ধাওয়াল কুলকার্নি।
১৩৬ রান করার পাশাপাশি ২টি উইকেট নিয়ে ফাইনালের সেরা হন মুশির খান। ৫০২ রান সংগ্রহ করার পাশাপাশি ২৯টি উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন তনুষ কোটিয়ান।