কেকেআরের বিরুদ্ধে চিন্নাস্বামীতে বিরাট কোহলিদের রেকর্ড বরাবরই খারাপ। ঘরের মাঠে কোহলিরা এই নিয়ে ১২ বার মুখোমুখি হল কলকাতা নাইট রাইডার্সের। যার মধ্যে শাহরুখ খানের টিমের জয়ের সংখ্যাটা আট। ২০১৫ সালের পর থেকে চিন্নাস্বামীতে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর কাছে কখনও হারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। সেই রেকর্ডই এদিন ধরে রাখল নাইটরা। এদিন টস জিতে আরসিবি-কে প্রথম ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন শ্রেয়স আইয়ার। ‘চেজ মাস্টার’ বিরাট কোহলিকে রান তাড়া করার কোনও সুযোগই নাইটরা দিতে চায়নি। তবে কোহলি ওপেন করতে নেমে ৫৯ বলে অপরাজিত ৮৩ রান করেন। কিন্তু তাঁর এই ইনিংসকে ব্যর্থ করে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর।
বড় জয় কলকাতার
শেষ পর্যন্ত ছক্কা মেরে খেল খতম করলেন শ্রেয়স আইয়ার। ১৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। বেঙ্গালুরুর ঘরের মাঠে দাপটের সঙ্গে তাদের হারানোটা মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। সেই কাজটাই করে দেখিয়েছে কেকেআর। ১৬.৫ ওভারে কলকাতার দলটি ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮৬ রান করে ফেলে। ২৪ বলে অপরাজিত ৩৯ করেন শ্রেয়স আইয়ার। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ২টি করে চার এবং ছক্কা। ৫ বলে ৫ করে অপরাজিত থাকেন রিঙ্কু। এই নিয়ে ২০২৪ আইপিএল মরশুমে পরপর দুই ম্যাচে জয় পেল নাইট রাইডার্স।
আউউউটটট… সাজঘরে ফিরলে বেঙ্কটেশ
সকলে ভেবেছিলেন, দুই আইয়ার মিলেই হয়তো খেলা শেষ করে দেবেন। কিন্তু সেটা আর সম্ভব হল না। ৩০ বলে ৫০ করে আউট হলেন বেঙ্কটেশ। ১৬তম ওভারের প্রথম বলেই যশ দয়াল ফেরাল বেঙ্কিকে। তাঁর ক্যাচ ধরেন বিরাট কোহলি। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন নতুন ব্যাটার রিঙ্কু সিং। ১৬ ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৬ রান। ২২ বলে ৩২ রান শ্রেয়স আইয়ারের। ২ বলে ২ রান রিঙ্কুর। জিততে হলে ২৩ বলে আর ৭ রান করতে হবে কলকাতাকে।
১৫তম ওভারে এল ১৭ রান, হাফসেঞ্চুরি বেঙ্কটেশের
১৪তম ওভারে ১৫০ রান করে ফেলেছিল কেকেআর, ১৫তম ওভারে আরও ১৭ রান যোগ করল তারা। ওভার শেষে নাইটদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১৬৭ রান। এই ওভারের পঞ্চম বলে আবার হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ২৯ বলে তিনি নিজের ৫০ পূরণ করেন। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে তিনটি চার, চারটি ছক্কা। ১৯ বলে ২৬ করেছেন শ্রেয়স। নাইটদের জিততে হলে ৩০ বলে আর ১৬ রান দরকার।
১১তম ওভারে এল ২০ রান
১১তম ওভারে আলজারি জোসেফকে পিটিয়ে ছাতু করলেন বেঙ্কটেশ আইয়ার। ০-৬-৪-০-৬-৪- মোট ২০ রান এল এই ওভার থেকে। বড় অক্সিজেন পেল নাইট রাইডার্স। ১১ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৩২ রান কেকেআর-এর। ১৫ বলে ৩২ রান বেঙ্কটেশের। ৯ বলে ১১ রান শ্রেয়সের।
শ্রেয়সের ক্যাচ মিস করলেন যশ দয়াল
শ্রেয়স আইয়ারকে আউট করার বড় সুযোগ হাতছাড়া করল বেঙ্গালুরু। দশম ওভারের চতুর্থ বলে ক্যাচ তুলেছিলেন শ্রেয়। কিন্তু সেই ক্যাচ মিস করেন যশ দয়াল। উল্টে বলটি বাউন্ডারি হয়ে যায়। দ্বিতীয় উইকেট পাওয়া হল না বিজয়কুমারের। কথায় আছে, ক্যাচ মিস, মানে ম্যাচ মিস। এটা না সত্যি হয়ে যায় আরসিবি-র জন্য। যাইহোক ১০ ওভার শেষে নাইটদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১১২ রান। ৯ বলে ১১ রান শ্রেয়সের। ৯ বলে ১২ করেছেন বেঙ্কটেশ।
নবম ওভারে ১০০ পার কলকাতার
২ উইকেট হারানোর পরেও নবম ওভারেই ১০০ পার করে গেল কলকাতা। ওভার শেষে নাইটদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান। ময়াঙ্ক ডাগরের এই ওভারে ১১ রান এসেছে। ৯ বলে ১২ রান করে ফেলেছেন বেঙ্কটেশ। ৩ বলে ৩ রান শ্রেয়সের। নাইটদের জিততে হলে ৬৬ বলে ৭৯ রান করতে হবে।
আউউউটটট.. সল্টের উইকেট হারাল কলকাতা
আউট হয়ে গেলেন ফিল সল্টও। ২টি চার, ২টি ছয়ের হাত ধরে ২০ বলে ৩০ করে সাজঘরে ফেরেন সল্ট। বিজয়কুমারের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে আউট হন সল্ট। পরপর দুই ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গেল কলকাতা। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার। ৮ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৯৩ রান কেকেআর-এর। ৫ বলে ৫ রান বেঙ্কটেশের। ১ বলে ১ রান শ্রেয়সের।
আউউউটটট.. ৩ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেন নারিন
উপপপসসস…. হাফসেঞ্চুরি করা হল না সুনীল নারিনের। মাত্র ৩ রানের জন্য মিস হয়ে গেল। ২২ বলে ৪৭ করে সাজঘরে ফিরলেন নারিন। তাঁর ইনিংসে রয়েছে ৫টি ছক্কা, ২টি চার। ময়াঙ্ক ডাগরের বলে সোজা বোল্ড হন নারিন। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন নতুন ব্যাটার বেঙ্কটেশ আইয়ার। সাত ওভার শেষে কলকাতার সংগ্রহ ১ উইকেটে ৮৯। ১৭ বলে ২৯ রান সল্টের। ৩ বলে ৩ রান বেঙ্কটেশের।
পাওয়ার প্লে-তে নাইটদের সংগ্রহ ৮৫/০
একেবারে ঝোড়ো মেজাজে রয়েছেন সুনীল নারিন। তাঁকে যোগ্যসঙ্গত করছেন ফিল সল্ট। যার নিটফল, পাওয়ার প্লে-তে বিনা উইকেটে ৮৫ রান করে ফেলেছে কলকাতা নাইট রাইডার্স। ষষ্ঠ ওভারেই যশ দয়ালকে পিটিয়ে ছাতু করে ২১ রান নিয়েছে কলকাতা। ২০ বলে ৪৭ করে ফেলেছেন সুনীল নারিন। ১৬ বলে ২৮ রান ফিল সল্টের। কেকেআর-কে কিন্তু স্বপ্ন দেখাচ্ছেন নারিন।
৫০ পার করে গেল কলকাতা
চতুর্থ ওভারেই ৫০ পার করে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ৫৩ রান। বেশ আগ্রাসী মেজাজে রয়েছেন সল্ট এবং নারিন। ১৩ বলে ২৫ করে ফেলেছেন ফিল সল্ট। এদিকে নারিনের সংগ্রহ ১১ বলে ২২ রান।
৩ ওভারে ৪৬ করে ফেলল নাইটরা
৩ ওভারে ৪৬ করে ফেলল নাইট রাইডার্স। ফিল সল্টের পর হাত খুলেছেন সুনীল নারিনও। এই ওভারে আলজারি জোসেফের শেষ দুই বলে দু'টি ছক্কা হাঁকিয়েছেন নারিন। ৩ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৪৬ রান কলকাতা নাইট রাইডার্সের। ৭ বলে ১৮ রান সল্টের। ১১ বলে ২২ করে ফেলেছেন নারিন।
প্রথম ওভারেই ১৮ রান যোগ হল কেকেআর-এর স্কোরবোর্ডে
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা বেশ ভালো করলেন ফিল সল্ট। প্রথম ওভারে সিরাজকে পিটিয়ে তিনি ছাতু করলেন। এই ওভারে ২টি ছয়, একটি চার হাঁকিয়েছেন সল্ট। এল মোট ১৮ রান। ৫ বলে ১৭ করে ফেলেছেন সল্ট। ১ বলে ১ রান নারিনের।
রান তাড়া করা শুরু কেকেআর-এর
১৮৩ রান লক্ষ্যে রেখেছে আরসিবি। চিন্নাস্বামীর বাউন্ডারি ছোট। তাই এই রান তাড়া করে জেতাটা খুব কঠিন কাজ নয়। কলকাতা নাইটা রাইডার্সে হয়ে ওপেন করতে নেমেছেন ফিল সল্ট এবং সুনীল নারিন। আরসিবি-র হয়ে প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন মহম্মদ সিরাজ।
শেষ বলে রানআউট কার্তিক, বিরাট দাপটে ১৮২-তে থামল আরসিবি
ওপেন করতে নেমেছিলেন বিরাট কোহলি। প্রথম বলে চার দিয়ে রানের খাতা খোলেন কোহলি। শেষ পর্যন্ত ৫৯ বলে ৮৩ করে অপরাজিত থাকেন তিনি। কোহলির ইনিংসে রয়েছে চারটি করে ছক্কা এবং চার। কোহলির হাত ধরেই আরসিবি-র স্কোর পৌঁছে গেল ৬ উইকেটে ১৮২ রানে। ইনিংসের শেষ বলে রানআউট হয়ে যান কার্তিক। তবে ৮ বলে ২০ করে আরসিবি-কে অক্সিজেন দেন কার্তিক। তাঁর সংক্ষিপ্ত ইনিংসে তিনটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন কার্তিক। তবে বল হাতে ফের নিরাশ করেছেন কেকেআর-এর মিচেল স্টার্ক। শেষ ওভারে ১৬ রান তিনি দিয়েছেন। নির্দিষ্ট ৪ ওভার বল করে ১১.৭৫ ইকোনমিরেটে ৪৭ রান দিয়েছেন স্টার্ক।কোনও উইকেট পাননি। অথচ তিনি আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী প্লেয়ার। সবচেয়ে বেশি টাকা দিয়ে এবার নাইটরা স্টার্ককে কিনেছে। কেকেআর-এর হয়ে সবচেয়ে বেশি রান গলিয়েছেন স্টার্কই।
আউউউটটট… মাত্র ৩ করে ফিরলেন অনুজ
পঞ্চম উইকেট হারাল আরসিবি। রাসেলের বলে বরুণ তাঁর ক্যাচ ফেললেও, পরের ওভারে আর ক্যাচ মিস করেননি সল্ট। হর্ষিত রানার ডেলিভারিতে ৩ বলে ৩ করে সাজঘরে ফেরেন অনুজ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন দীনেশ কার্তিক। অনুজ আউট হওয়ার আগেই ১৫০ পার করে গিয়েছিল বেঙ্গালুরু। ১৮ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৫৩ রান। ৫৪ বলে ৭৩ রান কোহলির। ১ বলে করেছেন কার্তিক।
আউউউটটট… নিরাশ করলেন রজত পতিদার
ফের নিরাশ করলেন রজত পতিদার। আগের দুই ম্যাচেও কিছু করতে পারেননি। এদিন নাইটদের বিরুদ্ধে রাসেলের বলে খারাপ শট খেলে রিঙ্কুর হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। তাঁর সংগ্রহ মাত্র ৩ রান (৪ বলে)। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন অনুজ রাওয়াত। তিনিও ২ রান করে সাজঘরে ফিরতে পারতেন। কিন্তু রাসেলের এই ওভারের পঞ্চম বলে তাঁর ক্যাচ ফেলেন বরুণ চক্রবর্তী। এই নিয়ে তিনটি নিশ্চিত ক্যাচ মিস করল নাইট রাইডার্স। ১৭ ওভার শেষে আরসিবি-র সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৮ রান। ৫০ বলে ৬৯ রান কোহলির। ২ বলে ৩ রান অনুজের।
আউউউটটট… তৃতীয় বার ম্যাক্সির ক্যাচ মিস করলেন না রিঙ্কু
অবশেষে আউট হলেন ম্যাক্সওয়েল। তৃতীয় বার তিনি ক্যাচ তুললে, এবার আর কোনও ভুল করেননি রিঙ্কু সিং। নারিনের বলেই সাজঘরে ফেরেন ম্যাক্সি। তাঁর সংগ্রহ ১৯ বলে ২৮ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন রজত পতিদার। নারিন ১৫তম ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে আউট করলেও, ১০ রান দিলেন। ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৪ রান। কোহলি করেছেন ৪৩ বলে ৬২ রান। ১ বলে ১ রান পতিদারের।
দু'বার জীবনদান পেলেন ম্যাক্সওয়েল
ম্যাক্সওয়েল ছন্দে ছিলেন না বলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হচ্ছিল। কিন্তু কলকাতা নাইট রাইডার্স তাঁর আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে দিলেন দু'বার ক্যাচ মিস করে। প্রথম বার ১৩তম ওভারের দ্বিতীয় বলে নারিনের ডেলিভারিতে ক্যাচ তুলেছিলেন ম্যাক্সওয়েল। রমনদীপ সেই ক্যাচ মিস করেন। এর পর ১৪তম ওভারের তৃতীয় বলে হর্ষিত রানাকে লম্বা ছক্কা হাঁকান ম্যাক্সি। কিন্তু তার পরের বলেই তিনি ক্যাচ তোলেন। পুরো লোফা ক্যাচ হাত থেকে গলিয়ে দেন সুনীল নারিন। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার জীবনদান পেলেন ম্যাক্সওয়েল। আর তার ঠিক পরের বলেই তিনি চার হাঁকান। ১৪ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১২৪ রান আরসিবি-র। ১৮ বলে ৮ রান ম্যাক্সওয়েলের। ৩৯ বলে ৫৩ রান কোহলির।
কোহলির হাফসেঞ্চুরির পর, শতরান পূরণ আরসিবি-র
দুরন্ত মেজাজে রয়েছেন বিরাট কোহলি। পঞ্জাবের পর ফের তিনি কেকেআর-এর বিরুদ্ধেও ঝোড়ো হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন। এদিন ৩৬ বলে নিজের অর্ধশতরান পূরণ করে কোহলি। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে তিনটি ছক্কা, দু'টি চার। আর কোহলির হাফসেঞ্চুরির পর, দলীয় শতরান পূরণ করে ফেলল আরসিবি-ও। ১২ ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ২ উইকেটে ১০৪ রান। বরুণ চক্রবর্তীকে কোহলি এই ওভারের দ্বিতীয় বলে একটি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এর পর আরও দু'টি চার মারেন ম্যাক্সওয়েল। এই ওভার থেকে আসে মোট ১৭ রান। ৩৬ বলে ৫০ রান কোহলির। ৯ বলে ১১ রান ম্যাক্সওয়েলের।
আউউউটটট… গ্রিনের উইকেট ভাঙলেন রাসেল
কোহলি এবং ক্যামেরন গ্রিন জুটি আরসিবি-র পায়ের তলার জমি বেশ শক্ত করে ফেলেছিল। দ্বিতীয় উইকেটে এই জুটি ৪২ বলে ৬৫ রান করেও ফেলেছিল। তবে নবম ওভারের শেষ বলে গ্রিনকে বোল্ড করে কেকেআর-কে কিছুটা স্বস্তি দিলেন রাসেল। আগের বলেই ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ক্যামেরন গ্রিন। সেই শোধ পরের বলেই সুদে-আসলে তুললেন রাসেল। ২১ বলে ৩৩ করে সাজঘরে ফিরলেন গ্রিন। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। ৯ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৮২ রান বেঙ্গালুরুর। ২৭ বলে ৪০ করে লড়াই চালাচ্ছেন বিরাট।
চেনা ছন্দে বিরাট
বিরাট কোহলি কিন্তু নিজের চেনা ছন্দে রয়েছেন। সেটা তাঁর ব্যাটিং দেখেই বোঝা যাচ্ছে। কাউকেই তিনি বাদ দিচ্ছেন না। অষ্টম ওভারে বল করতে এসেছিলেন সুনীল নারিন। তাঁর বলেও সাবলীল ভাবে ছক্কা হাঁকালেন। নারিনের এই ওভার থেকে এল মোট ১০ রান। আট ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১ উইকেটে ৭৪ রান। ২৫ বলে ৩৯ রান কোহলির। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত করছেন গ্রিন। ১৭ বলে ২৬ করে ফেলেছেন তিনি।
পাওয়ার প্লে-তে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ৬১/১
চতুর্থ ওভারে হর্শিত রানা ৯ রান দিয়েছিলেন। তবে পঞ্চম ওভারে অনুকূল রায় মাত্র ৩ রান দেন। এর পর ষষ্ঠ ওভারে বল করতে এসেছিলেন আন্দ্রে রাসেল। তিনি প্রথম তিন বলে দিয়েছিলেন ১ রান। কিন্তু শেষ তিন বলে হয় যথাক্রমে ৪-৪-৬ রান। অর্থাৎ এই ওভার থেকে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১৫ রান। সেই সঙ্গে পাওয়ার প্লে-র শেষে আরসিবি-র স্কোর পৌঁছে গেল ১ উইকেটে ৬১ রানে। ১৮ বলে ২৮ রান করে লড়াই চালাচ্ছেন কোহলি। ১২ বলে ২৪ করে ফেলেছেন গ্রিন।
তৃতীয় ওভারে স্টার্ককে পিটিয়ে ছাতু করলেন কোহলিরা
তৃতীয় ওভারে স্টার্ক বল করতে এলে, আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামী প্লেয়ারকে পিটিয়ে ছাতু করলেন কোহলি এবং ক্যামেরন গ্রিন মিলে। এই ওভার থেকে এল মোট ১৭ রান। কোহলি ওই ওভারে একটি ছয় এবং চার মেরেছেন। গ্রিন চার মেরেছেন। এছাড়া খুচরো ৩ রান হয়েছে। ওভার শেষে বেঙ্গালুরুর সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৪ রান। ১১ বলে ২১ রান কোহলির। ১ বলে ৪ রান গ্রিনের।
আউউউটটট… শুরুতেই কলকাতাকে সাফল্য দিলেন রানা
আরসিবি-র ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বড় সাফল্য পেল নাইট রাইডার্স। হর্ষিত রানা ফেরালেন ফ্যাফ ডু'প্লেসিকে। ওবারের পঞ্চম বলেই ফ্যাফ লম্বা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন রানাকে। তার পরের বলে ফের বড় শট খেলতে যান। কিন্তু এবার ক্যাচ উঠে যায়। স্টার্ক ক্যাচ ধরতে কোনও ভুল করেননি। ৬ বলে ৮ করে সাজঘরে ফেরেন ফ্যাফ। পরিবর্তে ক্রিজে আসেন ক্যামেরন গ্রিন। প্রথম ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন স্টার্ক। দ্বিতীয় ওভারে ১০ রান হলেও, ১ উইকেট হারিয়েছে আরসিবি। ২ ওভার শেষে বেঙ্গালরুর সংগ্রহ ১৭/১। ৬ বলে ৮ রান কোহলির।
খেলা শুরু
আরসিবি বনাম কেকেআর-এর মধ্যে টানটান উত্তেজনার ম্যাচ শুরু হয়ে গেল। বেঙ্গালুরুর হয়ে ওপেন করতে নেমেছে ফ্যাফ এবং কোহলি। এদিকে কেকেআর-এর হয়ে প্রথম ওভারে বল করতে এসেছেন মিচেল স্টার্ক।
দুই দলের একাদশ
কেকেআর-এর একাদশ: ফিল সল্ট (উইকেটকিপার), বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার (অধিনায়ক), রিঙ্কু সিং, সুনীল নারিন, আন্দ্রে রাসেল, রমনদীপ সিং, মিচেল স্টার্ক, অনুকূল রায়, হর্ষিত রানা, বরুণ চক্রবর্তী।আরসিবি-র একাদশ: ফ্যাফ ডু'প্লেসি (অধিনায়ক), বিরাট কোহলি, রজত পতিদার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, ক্যামেরন গ্রিন, দীনেশ কার্তিক, অনুজ রাওয়াত (উইকেটকিপার), আলজারি জোসেফ, ময়াঙ্ক ডাগর, মহম্মদ সিরাজ, যশ দয়াল।
টস জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর
টস জিতে ফিল্ডিং নিল কেকেআর। চেজ মাস্টার কোহলিকে আর রান তাড়া করার কোনও সুযোগ দিল না নাইটরা। প্রথমে বোলিং নেওয়ায় নীতিশ রানাকে দলে রাখেনি নাইট রাইডার্স। তাঁর জায়গায় দলে এসেছেন অনুকূল রায়। এদিকে আরসিবি নিজেদের একাদশ অপরিবর্তিত রেখেছে।
লড়াইয়ে কোহলি বনাম গম্ভীর
শুক্রবার ২০২৪ আইপিএলের দশ নম্বর ম্যাচে আইকনিক এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে আরসিবি এবং কেকেআর। তবে ই লড়াইয়ের উত্তাপ আর বাড়াচ্ছেন বিরাট কোহলি এবং গৌতম গম্ভীর। দুই তারকার মধ্যে যুযুধান দ্বৈরথ এই ম্যাচের পারদ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। গতবার আইপিএলে দুই তারকার মধ্যে তুমুল ঝামেলা হয়েছিল। সেই রেশ এখনও মেটেনি। আর এই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে শুক্রবারের আরসিবি বনাম কেকেআর-এর লড়াইয়েও। গত বছর গম্ভীর লখনউ সুপার জায়ান্টসের মেন্টর ছিলেন। এই বছর তিনি দল বদলে যোগ দিয়েছেন কেকেআর-এ। তাই শুক্রবার কি ফের ঝামেলা লাগতে পারে? গম্ভীর এবং বিরাটের মধ্যে প্রথম বার গন্ডগোল হয়েছিল ২০১৩ সালে। তখন আরসিবি-র অধিনায়ক ছিলেন বিরাট। কেকেআরের অধিনায়ক গম্ভীর। ১০ বছর পরেও তাঁদের সম্পর্ক যে ঠিক হয়নি, তা বোঝা গিয়েছিল লখনউ বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচে। সেই বিতর্কের আগুন এখনও জ্বলছে।
চর্চায় পিচ
সাধারণত চিন্নাস্বামী এত দিন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে জন্য আদর্শ ছিল। দ্রুত আউটফিল্ড এবং ছোট বাউন্ডারি সহ ব্যাটিং-বান্ধব পিচ ছিল এখানে। তবে এবার নিজেদের সুবিধের জন্য পিচ পরিবর্তন করেছে আরসিবি। একটি ভিডিয়ো নেটপাড়ায় তুমুল ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, ম্যাচের আগে পিচ পরিদর্শন করছেন গৌতম গম্ভীর। সঙ্গে অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার এবং কোচ চন্দ্রকান্ত পন্ডিতও রয়েছেন। পিচ দেখার পর তিন জনকে চিন্তিত হয়ে আলোচনা করতে দেখা যায়। গম্ভীর দাবি করেন, এই পিচ শক্ত এবং সবুজ। আরসিবি-র ব্যাটিং কোচ নেইল ম্যাকেঞ্জি ম্যাচের আগে সাংবাদিক সম্মেলনে দাবি করেছেন, তারা একটি নতুন পিচ পেয়েছে, যা পেসার সাহায্য করবে। এবং তাদের জন্য উপযুক্ত। কেকেআর-কে ধাক্কা দিতে সব রকম চেষ্টা করছে আরসিবি।
আরসিবি-র কী পরিস্থিতি এখন?
আরসিবি নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরেছিল চেন্নাই সুপার কিংসের কাছে। কিন্তু তারা লড়াইয়ে ফেরে তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে। পঞ্জাব কিংসকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে নেয়। তারা পয়েন্ট টেবলের খাতাও খুলে ফেলে। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে কোহলির ৪৯ বলে ৭৭ রানের ইনিংসই বলে দিচ্ছে, তিনি ঠিক কী রকম ফর্মে রয়েছেন। এমনিতেই আরসিবি-র ব্যাটিং লাইন আপ বেশ শক্তিশালী। পাশাপাশি ফাস্ট বোলারদের মধ্যে মহম্মদ সিরাজ এবং যশ দয়াল পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ভালো বোলিং করেছেন, তবে অন্যান্য বোলারদেরও আরও ভালো পারফরম্যান্স করতে হবে। তবে ঘরের মাঠে কিন্তু এদিন এগিয়েই থাকবেন কোহলিরা।
কেকেআর-এর হাল
সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে আইপিএল ২০২৪-এর প্রথম ম্যাচেই দুরন্ত জয় দিয়ে শুরু করেছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। শুক্রবার তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে কেকেআরের প্রতিপক্ষ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। কেকেআরের সব থেকে বড় চিন্তা এখন বিরাট কোহলির ফর্ম। আগের ম্যাচে পঞ্জাব কিংসকে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। সেই ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ৭৭ রানের দুরন্ত একটি ইনিংস খেলেন বিরাট। পুরো আগ্রাসী মেজাজে ছিলেন তারকা। স্বভাবতই কোহলির ঘরের মাঠে, তাঁকে আটকানোটা সহজ হবে না। সঙ্গে আরসিবি-র শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ রয়েছে। আর কেকেআর-এর বোলিং বিভাগ কিছুটা হলেও দুর্বল। বিশেষ করে পেস আক্রমণ। ২৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা খরচ করে মিচেল স্টার্ককে দলে নিলেও, তিনি প্রথম ম্যাচে নিরাশই করেছেন। বরং আন্দ্র রাসেল তাঁর চেয়ে ভালো বল করেছিলেন। যাইহোক রাসেল প্রথম ম্যাচে আবার বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ঝড় তুলেছিলেন। এই ম্যাচেও কেকেআর-এর বড় ভরসা হবেন তিনি। দলের টপ অর্ডার আগের ম্যাচে ব্যাট হাতে ছন্দে ছিল না। এদিন এমনটা ঘটলে কপালে দুঃখ থাকবে।