রঞ্জি ট্রফির সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ফর্মে শার্দুল ঠাকুর তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে শতরান করেছেন তিনি। শুধু তাই নয়, একই সঙ্গে একাধিক রেকর্ডও গড়েছেন মুম্বইয়ের এই অলরাউন্ডার। ১০৫ বলে তিনি করেছেন ১০৯ রান। যার মধ্য়ে রয়েছে ১৩টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারি। শার্দুলের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে মুম্বই ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৫৩ রান তোলে। স্বাভাবিক ভাবেই বেশ চাপেই রয়েছে তামিলনাড়ু। তবে দিনের শেষে শার্দুলের গলায় বোর্ড বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে শোনা গেল। বিশেষ করে রঞ্জি ট্রফি নিয়ে। আর সেটা যে ওয়ার্ক লোড এবং চোটে সংক্রান্ত তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ম্যাচ শেষে ৩২ বছর বয়সী এই মুম্বইয়ের ক্রিকেটার বলেন, 'রঞ্জি ট্রফি এখন যেভাবে চলছে, সেখানে যদি কোনও ক্রিকেটার টানা দুই বছর এই টুর্নামেন্ট খেলে, সেক্ষেত্রে চোট পাবেই। কারণ পরপর ম্যাচ খেললে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পাওয়া যায় না। স্বাভাবিক ভাবেই চোটের প্রবণতা থেকেই যায়। এটা শুধুমাত্র আমাদের দলের ক্রিকেটারদের কথা বলছি না। গোটা দেশের কথাই বলছি। বোর্ডের ভাবনা চিন্তা করা উচিত এই সব নিয়ে।'
এখানেই থেমে থাকেননি ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটার। তামিলনাড়ুর বিরুদ্ধে শতরানের পর তিনি আরও বলেন, 'একটা রঞ্জি ম্যাচ খেলার পর কোনও দলই পর্যাপ্ত বিশ্রামের সময় পায় না। তার মধ্যে দেশের এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়াতে হয়। আমার মতে বিসিসিআইয়ের উচিত দুটি ম্যাচের মধ্যে বিরতির সময়টা বিবেচনা করে দেখা। ৯ ম্যাচের মধ্যে মাত্র ৩ দিন বিশ্রামের সময় আমরা পেয়েছি। স্বাভাবিক ভাবেই এই কম সময়ে একাধিক চোট আঘাত হতে পারে। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে এমন ঘটনা ঘটলে সত্যি চিন্তার বিষয়। আমার ধারণা বিসিসিআই আগামী মরশুমে যখন সূচি প্রকাশ করবে, তখন এই কথাটা চিন্তা ভাবনা করে দেখবে।'
শার্দুল এটাও মেনে নিয়েছেন বিসিসিআইয়ের কোনও রকম সুযোগ থাকে না দুটি রঞ্জি ম্যাচের মধ্যে সময়ের ব্যবধান বেশি করার। এই অলরাউন্ডার বলেন, 'বিসিসিআইকে শুধু রঞ্জি ট্রফি বা আন্তজার্তিক ম্যাচ আয়োজন করতে হয়, এমনটা একেবারেই নয়। কারণ ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনেক টুর্নামেন্ট চলে। সেই দিকেও তাদের খেয়াল রাখতে হয়। ঠাসা ক্রীড়াসূচি থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য। বিভিন্ন স্টেডিয়ামে খেলা হয়। পাশাপাশি ঘরোয়া ক্রিকেটেও অনেক টুর্নামেন্ট রয়েছে। সব আয়োজন কয়েক মাসের মধ্যে করতে হয় বোর্ডকে। একটা নির্দিষ্ট সময় থাকে। ফলে দুটি ম্যাচের মাঝে অতিরিক্ত সময় দিলে টুর্নামেন্ট অনেকটা বড় হয়ে যায়। ফলে এখানে বিসিসিআইয়েরও কিছু করার নেই। তবে আমি আশা করব ক্রিকেটারদের কথা মাথায় রাখবে বিসিসিআই।'