চলতি সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফির প্রথম ৬টি ম্যাচে সাকুল্যে ১১টি উইকেট তুলে নেন তুষার দেশপান্ডে। তবে নিজের সেরাটা বোধহয় তুলে রেখেছিলেন গ্রুপের শেষ ম্যাচের জন্য। শুক্রবার মিজোরামের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক বোলিং করেন দেশপান্ডে। দুর্দান্ত হ্যাটট্রিকে শুরুতেই প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান তুষার।
জয়পুরে এ-গ্রুপের ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মিজোরাম। তারা ১৮.৩ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল করতে এসে তুষার দেশপান্ডে মিজোরামের তিনজন ব্যাটসম্যানকে পরপর সাজঘরে ফেরান।
১.৪ ওভারে দেশপান্ডের বলে বোল্ড হয়ে মাঠ ছাড়েন বিকাশ কুমার। ১.৫ ওভারে তুষারের বলে উইকেটকিপার প্রসাদ পাওয়ারের হাতে ধরা পড়েন জেহু অ্যান্ডারসন। ১.৬ ওভারে তুষারের বলে সেই পাওয়ারের দস্তানাতেই ধরা দেন জোসেফ লালথাংখুমা। অর্থাৎ, নিজের প্রথম ওভারে বল করতে এসেই ব্যক্তিগত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন দেশপান্ডে।
পরে তিনি লালবিয়াকভেলার উইকেটটিও তুলে নেন। তুষার ৩.৩ ওভার বল করে মাত্র ১৩ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট সংগ্রহ করেন। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন রয়স্টোন ডায়াস ও মোহিত আবস্তি। ১টি করে উইকেট নেন শামস মুলানি ও তনুষ কোটিয়ান।
আরও পড়ুন:- IPL 2024-এও ফিরছেন ধোনি, CSK সমর্থকদের উৎফুল্ল করে ইঙ্গিত দিলেন নিজেই- ভিডিয়ো
মিজোরামের হয়ে অগ্নি চোপড়া ১০, মোহিত জাঙ্গরা ১৬ ও লালমুয়ানজুয়ালা ১১ রান করেন। কেসি কারিয়াপ্পা ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন। রালতে করেন ৩ রান।
পালটা ব্যাট করতে নেমে মুম্বই মাত্র ৬ ওভারে ১ উইকেটের বিনিময়ে ৭৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ৮৪ বল বাকি থাকতে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয় মুম্বই।
যশস্বী জসওয়াল ২২ বলে ৪৬ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৭টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৯ বলে ১৪ রান করে আউট হন অংকৃষ রঘুবংশী। ১টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৫ বলে ১৭ রান করে নট-আউট থাকেন শিবম দুবে। লিগের ৭ ম্যাচে মুম্বইয়ের এটি ষষ্ঠ জয়।
উল্লেখ্য, তুষার দেশপান্ডে গত আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স মেলে ধরেন। ২০২৩ আইপিএলের ১৬টি ম্যাচে মাঠে নেমে তিনি সাকুল্যে ২১টি উইকেট দখল করেন। যদিও ওভার প্রতি ৯.৯২ রান খরচ করেন দেশপান্ডে। আইপিএলে তাঁর সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ৪৫ রানে ৩ উইকেট।