গত বছরের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে আচমকা অবসর নিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তাঁর এই সিদ্ধান্ত সকলে কিছুটা হতবাকই হয়েছিলেন। তবে অবসর ভেঙে গত সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দু'টি ম্যাচ খেললেও, বিশ্বকাপে খেলা হয়নি তাঁর। তা নিয়ে মুখ খুলে জড়িয়েছেন তীব্র বিতর্কেও।
বিপিএল দিয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণা করেছিলেন তামিম। কোন তামিম ফিরবেন, সেটাই ছিল প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের উত্তরটা তিনি দিয়েছেন টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়ে। ১৫ ম্যাচে ৩টি অর্ধশতরান করেছেন। ৩৫ গড় এবং ১২৭ স্ট্রাইক রেটে ৪৯২ রান সংগ্রহ ফরচুন বরিশালের অধিনায়কের। অধিনায়ক হিসেবে জিতেছেন বিপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম শিরোপা। পেয়েছেন এবারের বিপিএল-সেরার পুরস্কারও। একেবারে ধামাকাদার প্রত্যাবর্তন করেছেন তামিম!
এর পরেই তামিম জানিয়েছেন, বোর্ডের প্রধান নির্বাচক গাজি আশরফের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁর দাবি, ‘একটা জিনিস স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাকে ফিরতে হলে অনেক কিছু ঠিক থাকতে হবে। না হলে স্রেফ ফেরার জন্য ফিরে লাভ নেই। আমি ক্যারিয়ারের এমন পর্যায়ে রয়েছি, যেখানে আর হয়তো এক বা দু’বছর খেলতে পারব। সেটা নির্বাচকদের বলব। এখনও কথা হয়নি। তাই আগ বাড়িয়ে মন্তব্য করা উচিত হবে না।’
আরও পড়ুন: শীঘ্রই ২২ গজে প্রত্যাবর্তন করতে চলেছেন পন্ত, দিনক্ষণ বলে দিলেন সৌরভ
তামিম আরও যোগ করেছেন, ‘নতুন প্রধান নির্বাচকের সঙ্গে কথা হয়নি। জালাল ভাইয়ের (জালাল ইউনুস) সঙ্গে কথা হত। আমি কথা বলার জন্য তৈরি। দুর্ভাগ্যবশত এখনও সেটা হয়নি। শনিবার সকালে বিদেশে যাচ্ছি। সেখান থেকে ফিরে আশা করি কথা হবে।’
এবারের বিপিএলের পারফরম্যান্সকেও সমালোচনার জবাব হিসেবে দেখছেন না তামিম। তিনি বরং বলেছেন, ‘আমি এভাবে ভাবি না। যদি এভাবে ভাবতাম যে, জবাব দিতে হবে, তাহলে হয়তো ভালো করতে পারতাম না। আমি জিনিসটাই ভাবিনি যে জবাব দিতে হবে। আমার ক্যারিয়ার যদি তিন বছরের হতো, তাহলে চিন্তা করতাম জবাব দিতে হবে। আমি কী করেছি না করেছি, সবাই দেখেছে। আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল একটা ভালো পরিবেশ তৈরি করা। দলের পরিবেশ খুব ভালো ছিল। আমাদের দলের পরিবেশ ছিল অবিশ্বাস্য। বিদেশিরা ভালো খেলোয়াড় তো বটেই, তারা ভালো মানুষও ছিল। আমরা প্লে–অফে আসতে পারব কি পারব না, তা নিয়ে নিজেরাও শঙ্কায় ছিলাম। কিন্তু দলের পরিবেশের কারণে এটা করতে পেরেছি।’