ইউএল মাস্টার্স টি-১০ টুর্নামেন্ট চ্যাম্পিয়ন হল টেক্সাস চারজার্স। যদিও এই ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে। সেই সঙ্গে এই ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন নিউ ইয়র্ক ওয়ারিয়র্সের শাহিদ আফ্রিদি। পরপর দুই বলে দুটি উইকেট তুলে নেন তিনি। আর তাতেই ম্যাচ সুপার ওভারের দিকে গড়ি যায়। নইলে অনেক আগেই ম্যাচ জিতে নিতে পারত টেক্সাস। কিন্তু জিততে অপেক্ষা করতে হল সুপার ওভার পর্যন্ত।
এদিন টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন টেক্সাস। নিউ ইয়র্ক প্রথমে ব্যাট করতে নেমে কিছুটা হলেও চাপে পড়ে যায়। কারণ শুরুতেই আউট হয়ে ফিরে যান কামরান আকমল। এডওয়ার্ডসের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে ফিরে যান আকমল। তবে তিলকারত্নে দিলশান এবং রিচার্ড লেভির ব্যাটে ভর করে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালায় নিউ ইয়র্ক। কিন্তু বিপক্ষ দলের বোলারদের কাছে কিছুটা হলেও যেন বেগ পেতে হয়।
দিলশান ১২ বলে ১৮ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ১টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্য়ে। এবং রিচার্ড করেন ১৩ বলে ১৭ রান। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল মাত্র ৩টি বাউন্ডারির সাহায্য়ে। এই দুই ব্যাটার যদিও রান পেয়েছেন, মিসবা-উল-হক, শাহিদ আফ্রিদি এবং আবদুল রাজ্জাক একেবারেই ভালো রান করতে পারেননি। তারা এলেন আর গেলেন। তবে ম্যাচের একেবারে অন্তিম পর্বে জোনাথন কার্টার ১৭ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলেন তিনটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। যার ফলে ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান তোলে নিউ ইয়র্ক ওয়ারিয়র্স। তিন উইকেট নেন এহসান আলি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে টেক্সাসের মহম্মদ হাফিজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন। ১৭ বলে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ৪টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়া বেন ডাঙ্ক ১২ বলে ২০ রান করেন। আর কেউ বড় রান করতে পারেননি। বলা ভালো তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে টেক্সাসের ব্যাটিং লাইনআপ। দুর্দান্ত বোলিং করেন সোহেল খান। ৫ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া আফ্রিদি এবং আসিফ ২টি করে উইকেট নিয়েছেন। ৯২ রানে অলআউট হয়ে যায় টেক্সাস।
সুপার ওভারে ম্যাচ গড়ালে টেক্সাস ১ উইকেট হারিয়ে ১৫ রান তোলে। তবে সেই রান তুলতে পারেনি নিউ ইয়র্ক। ১৩ রানে থেমে যায় নিউ ইয়র্ক। সুপার ওভারে জিতে টি-টেন চ্যাম্পিয়ন হল টেক্সাস। ম্যাচের সেরা হয়েছেন সোহেল। টুর্নামেন্টের সেরা হয়েছেন মহম্মদ হাফিজ।