রবিবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে হান্ড্রেডের ম্যাচে ক্যালভিন হ্যারিসন ১১ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে রেকর্ড করেন। আর তাঁর দাপটে ম্যাঞ্চেস্টার অরিজিনালস মাত্র ৮৩ রানে নর্দার্ন সুপারচার্জার্সকে গুঁড়িয়ে দেয়। ৮১ রানে জয় ছিনিয়ে নেয় ম্যাঞ্চেস্টার। সেই সঙ্গে তারা নকআউটে পৌঁছানোর রাস্তাটা আরও শক্তিশালী করে।
হেডিংলেতে গত সপ্তাহের পরাজয়ের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য সুপারচার্জার্সের সমানে ১৬৫ রানের প্রয়োজন ছিল। তবে দলের ব্যাটাররা একেবারে ল্যাজেগোবরে হয়ে লজ্জাজনক ভাবে আউট হন। কেউ ক্রিজে টিকতেই পারেননি। ১৫-র বেশি রান করতে পারেননি কোনও ব্যাটার। ক্যালভিন হ্যারিসনের বিধ্বংসী বোলিংই সুপারচার্জার্সের ব্যাটিংয়ের কঙ্কালসার চেহারাটা সামনে এনে দেয়।
উসামা মীরের পরিবর্ত হিসেবে ম্যাঞ্চেস্টার শনিবার হ্যারিসনকে সই করানোর পর দিনই হান্ড্রেডের ম্যাচে রীতিমতো তান্ডব চালান এই লেগ স্পিনার। হ্যারিসন ২০টি বল করে ১১ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। যা পুরুষদের হান্ড্রেডে সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। হ্যারিসনের সঙ্গে সুপারচার্জার্সকে ৮৩ রানে অলআউট করতে সঙ্গত করেন জোশ টাঙ (২ উইকেট), টম হার্টলি (২ উইকেট) এবং জেমি ওভারটন (১ উইকেট)।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ম্যাঞ্চেস্টার ৬ উইকেটে ১৬৪ রান করেছিল। দুই ওপেনার মিলে প্রথম উইকেটে ৭২ রান করেন। ফিল সল্ট ১৮ বলে ২৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও, হাল ধরে থাকেন দলের আর এক ওপেনার এবং অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি ৩টি ছক্কা এবং ছয়টি চারের সাহায্যে ৪৭ বলে ৭৫ রান করেন। তাঁর এই রানই বড় ইনিংসের দিকে নিয়ে যায় ম্যাঞ্চেস্টারকে। এছাড়া ১৭ বলে ২৮ রান করেন পল ওয়াল্টার। সুপারচার্জার্সের হয়ে চার উইকেট তুলে নেন আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট নেন রিস টপলে এবং ক্যালাম পারকিনসন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে সুপারচার্জার্স শুরু থেকেই নড়বড় করছিল। কেউই উইকেটে থিতু হতে পারছিলেন না। দলের ২ রানের মাথাতেই প্রথম উইকেট হারায় তারা। এর পর ৫০ রানের মধ্যেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে সুপারচার্জার্স। বাকি ৫ উইকেট তারা হারায় ৩৩ রানের মধ্যে।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অ্যাডাম হোস। ৬ বলে ১৫ রান করেন তিনি। এছাড়া দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান ম্যাথিউ শর্ট (১২), দলের অধিনায়ক ওয়েন পার্নেল (১১), আদিল রশিদ (১৩) এবং রিস টপলে (১১)। বাকিরা কেই দুই অঙ্কের ঘরেই পৌঁছাননি।