Brian Lara-Carl Hooper cried: গাব্বা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ঐতিহাসিক জয়ের পরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন প্রাক্তন অধিনায়ক ব্রায়ান লারা ও কার্ল হুপার। দুই কিংবদন্তি তারকা আবেগে এতটাই ভাসলেন যে, তাঁরা নিজেদের চোখের জল ধরে রাখতে পারলেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম অস্ট্রেলিয়ার গাব্বা টেস্টে ধারাভাষ্য বক্সে ছিলেন ব্রায়ান লারা। সেখানেই তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। এরপরে কেঁদেই ফেলেন ব্রায়ান লারা। তার সঙ্গে সেই সময়ে ধারাভাষ্য দিচ্ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট। সেই সময়ে লারাকে তিনি জড়িয়ে ধরেন। অস্ট্রেলিয়া হারলেও এই সময়ে গিলক্রিস্টের খুশির সীমা ছিল না। তার আনন্দ দেখে একটা সময়ে মনে হয়েছিল যে সে যেন একজন ক্যারিবিয়ান খেলোয়াড়।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, গাব্বা টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে ৮ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাস্ট বোলার শামার জোসেফের প্রাণঘাতী বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংসে জোসেফ নিয়েছেন ৭ উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার জোশ হেজেলউড তাঁর শেষ শিকারে পরিণত হন এবং এই উইকেটের পতনের সঙ্গে সঙ্গে অস্ট্রেলিয়াকে পরাজিত করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হেজেলউডের উইকেট পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লারা, গিলক্রিস্ট ও নিউজিল্যান্ডের প্রাক্তন উইকেটরক্ষক ইয়ান স্মিথ কমেন্ট্রি বক্সের মধ্যে আনন্দে লাফিয়ে পড়েন।
কমেন্টারি বক্সের ভিতরের এই ভিডিয়ো টুইটারে ভাইরাল হচ্ছে। ভিডিয়োতে ব্রায়ান লারাকে বলতে শোনা যায় যে আজ ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় দিন। ভিডিয়োতে ব্রায়ান লারা বলেছেন, ‘এটি একটি অবিশ্বাস্য জয়। অস্ট্রেলিয়ায় অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে আমাদের ২৭ বছর লেগেছে। এই তরুণ দল তা করে দেখিয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট আজ শক্তিশালী। আজ আমাদের জন্য, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটের জন্য একটি বড় দিন। এই দলের প্রত্যেক সদস্যকে অনেক অনেক অভিনন্দন।’
তবে শুধু লারা নয়, এই সময়ে আরও একটি ভিডিয়ো ভাইরা হচ্ছে যেখানে কার্ল হুপারকে কাঁদতে দেখা গিয়েছে। তিনি ম্যাচ জয়ের পরে দরজার সামনে মুখ লুকিয়ে কাঁদতে থাকেন। এরপরে নিজের চোখ মুছতে থাকেন হুপার। সেই সময়ে কিছু বলতেই পারেননি তিনি। এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে বেশ ভাইরাল হতে থাকে।
গাব্বায় ফের হারল অস্ট্রেলিয়া। এবার হারাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথমবারের মতো দিন-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের কথা বললে, দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯৩ রান করে অস্ট্রেলিয়াকে ২১৬ রানের টার্গেট দিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তৃতীয় দিনের খেলা শেষে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ করেছিল ২ উইকেট হারিয়ে ৬০ রান। ম্যাচের চতুর্থ দিনে বিপজ্জনক বোলিং করেন শামার জোসেফ। ৭ উইকেট নিয়ে ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে পরাজিত করে।