একেবারে দাপটের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ নিজেদের ঝুলিতে তুলে নিল শ্রীলঙ্কা। একটি ম্যাচ বাকি থাকতেই হাসমাতুল্লাহ শাহিদিদের বিরুদ্ধে জয় পেল কুশল মেন্ডিস ও তাঁর বাহিনী। শুধু জয় নয়, একেবারে বড় ব্যবধানে জয় পেল তারা। ১৫৫ রানে ম্যাচ জিতল শ্রীলঙ্কা। সৌজন্যে চরিথ আসালঙ্কা ও অধিনায়ক কুশল মেন্ডিসের দাপুটে ব্যাটিং এবং ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার স্পিন ম্যাজিক। সব মিলিয়ে, একটি দুর্দান্ত টিম গেম এর উদাহরণ তুলে ধরল তারা। অন্যদিকে ম্যাচ হেরে একদিকে যেমন সিরিজ হাতছাড়া হলো, তেমনি অন্যদিকে একটা বড় ধাক্কাও খেলো আফগানিস্তান। লাগাতার হারের জেরে চাপে পড়েছে গোটা দল। পরবর্তী ম্যাচ সম্মানরক্ষার ম্যাচ তাদের কাছে। সিরিজ জিততে না পারলেও, অন্তত ঘুরে দাঁড়াবার জন্য তারা লড়াই করবে বলে মনে করছেন ক্রিকেটপ্রেমী থেকে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ সকলেই।
রবিবার, অর্থাৎ ১১ ফেব্রুয়ারি, পালেকেলেতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ খেলতে নামে শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান। এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। যদিও শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি তাদের। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান গত ম্যাচের নায়ক পাথুম নিশঙ্কা। তার কিছুক্ষণ পরেই ফিরে যান দলের আরেক অপনার আবিষ্কা ফার্নান্ডো। এরপর ১০৩ রানের একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন দলের অধিনায়ক কুশল মেন্ডিস ও সাদিরা সামারাবিক্রমে। সাদিরা আউট হন ৫২ রানে।
এর কিছুক্ষণ পরেই ৬১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান কুশল মেন্ডিস। এরপর শুরু হয় আসালঙ্কা ঝড়। দুজনেই হাঁকান অর্ধশতরান। তবে মাত্র তিনটি রানের জন্য নিজের শতরান থেকে বঞ্চিত হন চারিথ আসালঙ্কা। তাঁর ৭৪ বলে ৯৭ রানের ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও দুটি ছয়। অন্যদিকে জানিথ লিয়ানাগের ব্যক্তিগত সংগ্রহ ৫০। সব মিলিয়ে, নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ৩০৮।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ৩৪ ওভার শেষ হওয়ার আগেই ১৫৩ রানে অলআউট হয়ে যায় আফগানিস্তান। যদিও একটা সময় অর্থাৎ ১৪৩ রানে ২ উইকেট পড়েছিল আফগানদের। সেখান থেকে মাত্র ১০ রানের মধ্যে অলআউট তারা। ইব্রাহিম জাদরান ও রহমত শাহ ছাড়া কেউই ব্যাট হাতে তেমন রান পাননি। দুজনেই খেলেন অর্ধশতরানের ইনিংস। জাদরান করেন ৫৪ এবং শাহ করেন ৬৩। শ্রীলঙ্কার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ চারটি উইকেট পান দলের তারকা স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় চারিথ আসালঙ্কাকে।