এই সপ্তাহের শুরুতে চলতি বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের কাছে পাকিস্তান বিশ্রি হারের পর থেকে চলছে তীব্র সমালোচনা। এই হারের ফলে পাকিস্তানের সেমিফাইনালে ওঠার আশা কার্যত একেবারে ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে। পাঁচটি ম্যাচের মধ্যে তারা দু'টিতে জিতেছে। তিনটিতেই হেরেছে। রানরেটও মাইনাসে। আপাতত বিশ্বকাপের পয়েন্ট টেবলরে ছয়ে রয়েছে পাকিস্তান। বাবর আজমের দল এখন প্রত্যাবর্তনের জন্য মুখিয়ে। তবে তাদের সেমিতে ওঠার লড়াইটা মারাত্মক জটিল হয়ে গিয়েছে। তাদের সামনে পরবর্তী দুই প্রতিপক্ষই এই মুহূর্তে আগুনে মেজাজে। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউজিল্যান্ড যে রকম ছন্দে রয়েছে, তাতে তাদের হারানোটা মোটেও সহজ হবে না।
আরও পড়ুন: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরাজকে বিশ্রাম দিয়ে কাকে খেলানোর পরামর্শ দিলেন ভাজ্জি
টুর্নামেন্টে হারের হ্যাটট্রিকের পর পুরো দলের সমালোচনার পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি আক্রমণ করা হচ্ছে দলের অধিনায়ক বাবর আজমকে। বাবরের অধিনায়কত্ব নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। তাঁর নেওয়া কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে চলছে কাটাছেঁড়া। আফগানিস্তান যখন ২৮৩ রান তাড়া করতে নেমেছিল, তখন পাকিস্তানের রক্ষণাত্মক কৌশল অনেককে বিস্মিত করেছিল। এবার তো পাক ড্রেসিংরুমের বন্ডিং এবং স্বজনপোষণ নিয়েই বিস্ফোরক দাবি করে বসেছেন আহমেদ শাহজাদ।
তারকা ব্যাটার শাহজাদ দাবি করেছেন যে, পাকিস্তান টিমের বাছাই করা তারকারা অগ্রাধিকারমূলক আচরণ পান। কঠিন সময়ে বাকিদের ঘাড়ে বন্দুক রেখে, তাঁদের একাদশ থেকে বাদ দেওয়ার একটি ছুতো খোঁজা হয়। শাহজাদ পাকিস্তানের একটি সংবাদ চ্যানেল এআরওয়াই নিউজে বিশাল বড় বোমা ফাটিয়েছেন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ‘বুড়ো’ একাদশ বাছাই করেই বিশ্বকাপে ইতিহাস লিখল ইংল্যান্ড
তিনি দাবি করেছেন, ‘আমি কিছু খেলোয়াড়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ড্রেসিংরুমে কয়েক জন খেলোয়াড়কে ভালো ভাবে স্বাগত জানানোই হয় না। তাদের সঙ্গে অন্যদের মতো একই স্তরের ব্যবহার করা হয় না। এবং আত্মবিশ্বাস দেওয়া হয় না। কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে দলে রাখার চেষ্টা করে এবং অন্যদের বাদ দেওয়ার চেষ্টা করে। তৈয়ব তাহিরকে আনা হয়েছিল, তাকে স্বাগত জানানো হয়নি এবং বাদ দেওয়া হয়েছিল। সাউদ শাকিলকে আনা হয়েছিল তার টেস্ট পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে। উসামা মির, আমরা বলছিলাম বিশ্বকাপের আগে ওকে আত্মবিশ্বাস দেওয়ার জন্য সুযোগ দিন... দেখুন, উসামা একজন রিস্ট-স্পিনার। বল পুরনো হলে তিনি আরও কার্যকরী। আর তাকে আনা হয় ১১তম ওভারে। তারা কিছু নির্দিষ্ট খেলোয়াড়কে বাঁচানোর চেষ্টা করছে এবং পরিবর্তে এই খেলোয়াড়দের বলি দিচ্ছে।’ তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই বলে আসছিলাম আব্রার আহমেদকে আনুন, মিস্ট্রি স্পিনার দরকার। এরা আমাদের সহকর্মী, এরা আমাদের বন্ধু। কিন্তু সকলের ক্ষেত্রে সমান ব্যবহার করা হয় না।’