গেম খেলতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এনআরআই ছাত্র। আমেরিকা থেকে ছাত্র মৃত্যুর এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে ইতিমধ্যেই। এই মৃত্যুর পিছনে অনলাইন খুনে গেম 'ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ' ছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। ব্লু হোয়েলকে 'সুইসাইড গেম'ও বলা হয়। তাহলে কি মোবাইলে এই প্রাণঘাতী গেমই আবার জীবিত হয়ে উঠেছে! তবে গেমটি খেলতে গিয়েই যে ওই ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, সেই বিষয়টি কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করা হয়নি।
ঘটনাটি ঘটেছে ম্যাসাচুসেটস বিশ্ববিদ্যালয়ে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ২০ বছর বয়সী এক এনআরআই ছাত্রকে আট মার্চ মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। রিপোর্ট অনুসারে, প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছিল যে এনআরআই ছাত্রকে খুন করা হয়েছে, সে আসলে ভারতীয় বংশোদ্ভূত। প্ৰথমে ওই ছাত্রকে ছিনতাই করে তাকে হত্যা করা হয়। তারপর লাশ জঙ্গলে ফেলে দেওয়া হয়। বোস্টন গ্লোব নিউজপেপার পরে ওই ছাত্রের পরিচয় প্রকাশ করে। সূত্রের খবর, ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওই ছাত্রটি দুই মিনিটের জন্য নিজের শ্বাস আটকে রেখেছিল। এ কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জ হল এমনই একটি অনলাইন গেম যেখানে খেলোয়াড়কে কিছু করার জন্য চ্যালেঞ্জ করা হয়। এই গেমটিতে ৫০টি লেভেল রয়েছে। গেমটির যতটা লেভেল আপ হতে থাকবে, এটি ততই কঠিন হয়ে উঠবে। যদিও শিক্ষার্থীর মৃত্যুর কারণ এখনও নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। ব্রিস্টল কাউন্টি জেলা অ্যাটর্নির মুখপাত্র গ্রেগ মিলিয়ট এ প্রসঙ্গে বলেছেন যে মামলাটি আত্মহত্যার দিক থেকে তদন্ত করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে, পুলিশ বলছে যে আমরা ভারতীয় বংশোদ্ভূত ছাত্রের চূড়ান্ত মেডিকেল রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি। এরপরই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়ে কিছু বলা যাবে।
মনে রাখবেন যে ব্লু হোয়েল একটি অনলাইন গেম এবং এই গেমটিতে একাধিক লেভেল রয়েছে। গেমাররা এই গেমটিতে প্রথম প্রথম অনেক মজাদার চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হন এবং লেভেল বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গেমের চ্যালেঞ্জগুলি খুব কঠিন হয়ে যায়। যার দরুণ গেমারদের আসক্তিও বাড়তে থাকে, যা তাঁদের মৃত্যু পর্যন্ত টেনে নিয়ে যায়।
ভারতীয় ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক, গেমটি চালু হওয়ার এক বছর পরে ২০১৭ সালে জারি করা একটি পরামর্শে বলেছিল যে ব্লু হোয়েল গেম (আত্মঘাতী গেম) আত্মহত্যাকে প্ররোচিত করে। তাই এটা থেকে দূরে থাকুন। ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে রাশিয়ায় ব্লু হোয়েল চ্যালেঞ্জের কারণে অনেক মৃত্যুও খবরও সামনে এসেছিল।