শুভব্রত মুখার্জি- ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালের আগে থেকেই আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ক্রিকেটের ২২ গজ। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে তো ভারতের বিরুদ্ধে পিচ ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠে যায়। অভিযোগ ওঠে ভারতকে সুবিধা করে দিতেই আইসিসির অনুমতি না নিয়েই নাকি পিচ বদল করা হয়েছিল। ঘটনায় আসরে নামতে হয় আইসিসিকে। বিবৃতি জারি করে পরিস্থিতি ঠান্ডা করার চেষ্টা করা হয়। ১৯ নভেম্বর গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্বকাপের ফাইনাল। ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়ার এই ফাইনাল ম্যাচও হতে পারে হাই স্কোরিং। তবে ওয়াংখেড়ের প্রথম সেমিফাইনালের পরে যে প্রশ্নটা সব থেকে প্রাসঙ্গিক তা হল কত স্কোর হলে মোতেরার ২২ গজে সেই স্কোরকে নিরাপদ বলা যেতে পারে! এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন গুজরাট ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পিচ কিউরেটর।
পিচ কিউরেটরের মতে মোতেরার ওই উইকেটে নিরাপদ স্কোর হতে পারে ৩১৫ রান। প্রথমে ব্যাট করে কোন দল ৩১৫ রান করলেই তারা তা ডিফেন্ড করতে পারবে। তার এই বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ওই পিচ কিউরেটর। তাঁর মতে, ‘যদি পিচে ভারী রোলার ব্যবহার করা হয় তাহলে উইকেট স্লো ব্যাটিং উইকেট তৈরি হবে। ভারী রোলার দিয়ে কৃষ্ণমৃত্তিকাকে রোল করা হলে তা আস্তে আস্তে বসে যায়। যে সমস্ত ক্র্যাক পিচে থাকে তা ভরাট হয়ে যায়। ফলে আদর্শ স্লো ব্যাটিং উইকেটে পরিণত হয় ২২ গজ। যেখানে বড় স্কোর করা দুই পক্ষের পক্ষে কার্যত বড় ব্যাপার নয়। আর তা করে ডিফেন্ড করাটাও সম্ভব। কারণ ভারী রোলার চালানোর পরে উইকেটে বলকে ব্যাটাররা সহজে হিট করতে পারবে না।’
ফলে এই উইকেটেও টস জিতে প্রথম ব্যাটিং করাটা গুরুত্বপূর্ণ। না হলে পরে উইকেট স্লো হয়ে গেলে রান তাড়াতে সমস্যা হতে পারে। উল্লেখ্য চলতি ওডিআই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের দুটি ম্যাচে দুটি আলাদা ধরনের উইকেট দেখা গেছে। ভারত বনাম নিউজিল্যান্ডের প্রথম সেমিফাইনালে ওয়াংখেড়েতে উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। সেখানে দুই দল মিলে ৭২৪ রান করে। আর অন্যদিকে ইডেন গার্ডেন্সে হয় লো স্কোরিং থ্রিলার। যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ২১২ রান। অনবদ্য শতরান করে প্রোটিয়াদের লড়াইতে রেখেছিলেন ডেভিড মিলার। তবে শেষরক্ষা হয়নি। তিন উইকেট হাতে রেখে ম্যাচে জিতে অষ্টমবারের মতন ফাইনালে চলে যায় অস্ট্রেলিয়া।