শুভব্রত মুখার্জি: বিশ্ব ক্রিকেটে পারফরম্যান্সের বিচারে নিঃসন্দেহে সবথেকে শক্তিধর দেশ অস্ট্রেলিয়া। বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসি আয়োজিত যে কোনও টু্র্নামেন্টেই তাদের আধিপত্য রয়েছে সমানভাবে। বিশেষ করে সিনিয়র পর্যায়ে তারা একাধিকবার ২২ গজে তাদের পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে এই সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছে অজি দল। আইসিসি আয়োজিত টু্র্নামেন্টে নক আউট পর্বে অজিরা পৌঁছে গেলে যে কতটা ভয়ঙ্কর তা একটা ছোট্ট পরিসংখ্যানেই বোঝা যায়। ওডিআই বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে চলতি বিশ্বকাপ মিলিয়ে ১৩তম সংস্করণ আয়োজন করছে আইসিসি। যার মধ্যে আটবারই ফাইনালে উঠেছে অজি দল। আর এর মধ্যে দিয়েই এক নয়া রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন প্যাট কামিন্সরা।
পুরুষ হোক কিংবা মহিলা আইসিসি আয়োজিত সিনিয়ার পর্যায়ের টুর্নামেন্টে আটবার ফাইনালে উঠে নয়া নজির গড়েছে অস্ট্রেলিয়ার সিনিয়ার পুরুষ দল। পুরুষ এবং মহিলা উভয় বিভাগের সিনিয়ার ক্রিকেট মিলিয়ে এই নজির নেই আর অন্য কোন দলের। কাকাতলীয়ভাবে অজিদের পুরুষ দল ভেঙে দিয়েছে তাদের দেশের সিনিয়ার মহিলা দলের গড়া নজিরকে। অজিদের সিনিয়ার মহিলা দল ওয়ানডে ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপের পাশাপাশি টি-২০ ফর্ম্যাটের বিশ্বকাপে সাতবার ফাইনালে খেলার নজির গড়েছে। সেখানে আবার অজি পুরুষ দলের এই কৃতিত্ব রয়েছে শুধুমাত্র ওয়ানডে ফর্ম্যাটে।
প্রসঙ্গত অজিরা প্রথমবার ১৯৭৫ সালের বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল। এই ফাইনালে যদিও তাদের হারতে হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি ১৯৯৬ সালের ফাইনালেও তারা হারের সম্মুখীন হয়েছিল। সেবার অরবিন্দ ডিসিলভার অনবদ্য শতরানে ভর করে শ্রীলঙ্কা হারিয়ে দিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দলকে। অজিরা পুরুষদের ওডিআই ফর্ম্যাটে সিনিয়র পর্যায়ে প্রথম সাফল্য পায় ১৯৮৭ সালে। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এরপর ১৯৯৯-২০০৭ টানা তিনটি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতে বিশ্বকাপ জয়ের হ্যাটট্রিক করে তারা। এরপর দেশের মাটিতে ২০১৫ সালে নিউজিল্যান্ড দলকে ফাইনালে হারিয়ে এক অবিশ্বাস্য জয় ছিনিয়ে নেয় অজিরা। সব মিলিয়ে ২০২৩ সালের ফাইনাল বাদ দিলে এখন পর্যন্ত সাতটি ফাইনালে খেলে অজিরা পাঁচটিতেই জয় পেয়েছে।২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ফাইনালে ও পৌঁছেছে তারা। সেখানে তারা নিঃসন্দেহে তাদের অষ্টম ফাইনালে এবার ষষ্ঠ শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে ঝাঁপাবে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে লড়াই করে নিজেদের তৃতীয় শিরোপা জিততেও মুখিয়ে থাকবেন রোহিত শর্মারা।