শুভব্রত মুখার্জি: ২০২৩ ওডিআই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল ইংল্যান্ড এবং রানার্স আপ নিউজিল্যান্ড। বিশেষজ্ঞ সহ ক্রিকেট সমর্থকদের আশা ছিল এই ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে দুই দলের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে ঘটল একেবারে উল্টোটাই। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দলকে একেবারে পর্যুদস্ত করে ছাড়ল কিউয়িরা। ম্যাচে ৮২ বল বাকি থাকতেই সহজ জয় তুলে নিয়ে তাদের অভিযান শুরু করল নিউজিল্যান্ড দল। তাদের জয়ের অন্যতম নায়ক তাদের দুই বাঁহাতি ব্যাটার ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র। দ্বিতীয় উইকেটে অবিচ্ছেদ্য পার্টনারশিপ গড়ে দলকে সহজ জয় এনে দিলেন তারা। পাশাপাশি ওডিআই বিশ্বকাপে যে কোনও উইকেটে নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক রানের পার্টনারশিপ গড়ার ও নজির গড়েছেন তারা।
আজ থেকে ২৭ বছর আগের গড়া নজির এদিন ভেঙে দিয়েছেন তারা। এতদিন পর্যন্ত এই নজির ছিল লি জার্মোন এবং ক্রিস হ্যারিস জুটির। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে তারা এই নজির গড়েছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চেন্নাইতে ১৬৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তাঁরা।আর এদিন আমদাবাদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অপরাজিত ২৭৩ রানের জুটি গড়ে এই নজির ভেঙে দেন ডেভন কনওয়ে এবং রাচিন রবীন্দ্র জুটি।
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ২০১১ বিশ্বকাপে আমদাবাদে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে অপরাজিত ১৬৬ রানের জুটি গড়েন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম এবং মার্টিন গাপ্তিল। তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপে ম্যাঞ্চেস্টারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬০ রানের জুটি গড়েন রস টেলর এবং কেন উইলিয়ামসন জুটি। তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ১৯৭৫ সালে বার্মিংহামে পূর্ব আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১৪৯ রানের জুটি গড়েছিলেন গ্লেন টার্নার এবং জন পার্কার।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে ২৮২ রান করেছিল ইংল্যান্ড। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৭ রান করেন জো রুট। তাঁকে যোগ্য সঙ্গত দিয়ে ৪৩ রান করেন জোস বাটলার। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৩৬.২ ওভারেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউজিল্যান্ড দল। মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ৮২ বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে যায় নিউজিল্যান্ড দল। দলগত ১০ রানের মাথাতেই উইল ইয়ং আউট হয়ে যান।শূন্য রান করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপরেই ইনিংসের হাল ধরেন রাচিন রবীন্দ্র এবং ডেভন কনওয়ে জুটি। দুজনে মিলে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অপরাজিত ২৭৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। মাত্র ১২১ বলে ১৫২ রানে অপরাজিত থাকেন ডেভন কনওয়ে। হাঁকান ১৯ টি চার এবং তিনটি ছয়। অন্যদিকে ৯৬ বলে ১২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন রাচীন রবীন্দ্র। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ১১ টি চার এবং ৫টি ছয়ে।