একটি বিশ্বকাপের আসরে নিজেদের একটানা সব থেকে বেশি ম্যাচ জয়ের ইতিহাসে গড়া হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। এবার টিম ইন্ডিয়ার লক্ষ্য দশে দশ করা। লিগ পর্বের নয় ম্যাচে জয় তুলে নেওয়া রোহিত শর্মারা আগামী বুধবার ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর সেমিফাইনাল খেলতে নামবেন। তার আগে সোমবার ভারতীয় দল পৌঁছে যায় মুম্বইয়ে।
সঙ্গত কারণেই মুম্বইয়ে পা দেওয়া মাত্রই অনুরাগীদের ভালোবাসায় ভেসে যান ভারতীয় তারকারা। তবে সব থেকে বেশি উদ্দীপনা ছিল টিম ইন্ডিয়ার দলনায়ক রোহিত শর্মাকে নিয়ে। সেটাই অবশ্য স্বাভাবিক। কেননা রোহিত যে মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে। বিমানবন্দর থেকে টিম হোটেল পর্যন্ত সর্বত্রই রোহিতকে নিয়ে আবেগে ভেসে যায় মুম্বই। সোশ্যাল মিডিয়া ছেয়ে যায় টিম ইন্ডিয়ার মুম্বইয়ে পৌঁছনোর ছবি ও ভিডিয়োয়।
রোহির শর্মারা বিমানবন্দর থেকে টিম হোটেলের পৌঁছলেও কোচ দ্রাবিড় সোজা ওয়াংখেড়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। একা দ্রাবিড়ই নন, তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিম ইন্ডিয়ার ব্যাটিং কোচ বিক্রম রাঠোর ও বোলিং কোচ পরশ মামব্রে। রাঠোর ও মামব্রেকে নিয়ে টিম ইন্ডিয়ার হেড কোচ ওয়াংখেড়ের বাইশগজ খতিয়ে দেখেন। দ্রাবিড়রা পিচের সম্ভাব্য গতিপ্রকৃতি নিয়ে কিউরেটরের সঙ্গে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন বলেও খবর।
অবশ্য একা রোহিতই নন, বরং শ্রেয়স আইয়ার, শার্দুল ঠাকুর, সূর্যকুমার যাদবরাও মুম্বইয়ের ঘরের ছেলে। আইপিএলের সুবাদে ওয়াংখেড়ে জসপ্রীত বুমরাহরও ঘরের মাঠ। সুতরাং, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলতে রোহিত-বুমরাহরা নিজেদের ডেরায় ফিরলেন বলা যায়।
যদিও চলতি বিশ্বকাপে মুম্বইয়ে এটি ভারতের প্রথম ম্যাচ নয়। বরং ভারতীয় দল এবার ওয়াংখেড়েতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে একটি লিগ ম্যাচে মাঠে নামে। সেই ম্যাচে সিংহলিদের ৩০২ রানের রেকর্ড ব্যবধানে বিধ্বস্ত করে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারত ৮ উইকেটে ৩৫৭ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। শুভমন গিল ৯২, বিরাট কোহলি ৮৮, শ্রেয়স আইয়ার ৮২ ও রবীন্দ্র জাদেজা ৩৫ রান করেন। রোহিত সেই ম্যাচে মোটে ৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা অল-আউট হয়ে যায় মাত্র ৫৫ রানে। মহম্মদ শামি ৫ ওভার বল করে ১টি মেডেন-সহ মাত্র ১৮ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ১৬ রানে ৩টি উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ। ১টি করে উইকেট দখল করেন জসপ্রীত বুমরাহ ও রবীন্দ্র জাদেজা।