ছেলেদের বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের প্রথম স্পিনার হিসেবে ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন সদ্য। তৃপ্তি থাকলেও মিচেল স্যান্টনার এখনও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন। সোমবার হায়দরাবাদে নেদারল্যান্ডস ইনিংসে ধস নামানোর কারিগর স্পষ্ট জানালেন যে, ৫ উইকেট নিলেও তিনি নিজের সেরা ছন্দে বল করতে পারেননি।
স্যান্টনার বরং দলের জয়ের জন্য কৃতিত্ব দিলেন ব্যাটসম্যানদের। তাঁর দাবি, ব্যাটসম্যানরাই স্কোরবোর্ডে পর্যাপ্ত রান তুলে বোলারদের সামনে খোলা মনে বল করার মঞ্চ প্রস্তুত করে দেন। এক্ষেত্রে বিন্দুমাত্র ভুল বলেননি স্যান্টনার। চলতি বিশ্বকাপের প্রথম ২ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিং ইউনিট নজরকাড়া পারফর্ম্যান্স উপহার দিয়েছে।
নিউজিল্যান্ড প্রথম ম্যাচে ইংল্যান্ডের ঝুলিয়ে দেওয়া ২৮৩ রানের টার্গেটে পৌঁছে যায় মাত্র ৩৬.২ ওভারে। তাও আবার মোটে ১ উইকেট হারিয়ে। এবার নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শুরুতে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড ৭ উইকেটে ৩২২ রান তুলে ফেলে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ডাচদের বিরুদ্ধে বল হাতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠার আগে স্যান্টনার ব্যাট হাতেও দলের পারফর্ম্যান্স উল্লেখযোগ্য অবদান রাখেন। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩৬ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন।
প্রথমে ব্যাট হাতে ঝোড়ো ইনিংস, পরে বল হাতে ৫৯ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট, সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান স্যান্টনার। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ম্যাচের নায়ক মিচেল বলেন, ‘খুব খারাপ নয়। ব্যাটসম্যানদের কৃতিত্ব দিতে হবে। ওরা সামনে থেকে লড়াই চালিয়ে মঞ্চ তৈরি করে দিয়ে যায়। মাঝের সময়টায় একটু সমস্যা হয়েছিল বটে, তবে আমরা ৩২০ টপকাতে সক্ষম হই।’
পরক্ষণে স্যান্টনার বলেন, ‘ফ্লাডলাইডে খেলা হওয়ার সময় বল অল্প-বিস্তর স্কিড করছিল। তবে আমরা ভালো বল করেছি। আজকের রাতটা দারুণ কাটল। অনেকগুলো উইকেট মিলেছে। যদিও নিজের সেরা বোলিং করতে পারিনি আজ, তাও পুরস্কার মিলে যাওয়ায় খুশি। এই পিচটা তুলনায় স্লো ছিল। বল একটু থমকাচ্ছিল। ওদের স্পিনাররাও দারুণ বল করে।’
উল্লেখ্য, সোমবার উপ্পলে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ৩২২ রান সংগ্রহ করে। উইল ইয়ং ৭০, রাচিন রবীন্দ্র ৫১ ও টম লাথাম ৫৩ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে নেদারল্যান্ডস ৪৬.৩ ওভারে ২২৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ৬৯ রান করেন কলিন অ্যাকারম্যান। ৯৯ রানে ম্যাচ জেতে নিউজিল্যান্ড।