ক্রিকেট বিশ্বকাপের ইতিহাসে প্রথম বার ঘটল এমন ঘটনা। প্রয়োগ করা হল বিশেষ নিয়ম। শুক্রবার দক্ষিণ আফ্রিকা-পাকিস্তান ম্যাচে কনকাশন পরিবর্তের যে নিয়ম রয়েছে, তার ব্যবহার করা হল। এর আগে কখনও বিশ্বকাপে কনকাশন পরিবর্তের নিয়ম প্রয়োগ করা হয়নি। পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বাজে ভাবে আহত হন শাদাব খান। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন উসামা মির। পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার তাঁর মাথায় চোট পাওয়ার পর মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন।
এদিন চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে তখন দ্বিতীয় ইনিংসে ফিল্ডিং করছিল পাকিস্তান। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৭০ রান তোলে তারা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান তাড়া করার সময়ে প্রথম ওভারের দ্বিতীয় বলেই এই ঘটনাটি ঘটে। ইফতিকার আহমেদের বলে শট মেরেই রান নিতে ছুটেছিলেন তেম্বা বাভুমা। মিড অন থেকে ছুটে আসেন শাদাব। বল কুড়িয়ে বোলারের প্রান্তের দিকে ছোড়েন। কিন্তু শরীরের নিয়ন্ত্রণ ঠিক রাখতে পারেননি। মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ে যান। মাথা মাঠের মধ্যে ঠুকে বড় ধরনের চোট পান শাদাব।
আরও পড়ুন: ঢাকায় গিয়ে কোনও নিয়মই ভাঙেনি শাকিব ভাই- অধিনায়ক বিতর্কে কি ধামাচাপা দিতে চাইলেন তাসকিন?
মাথায় চোট যে গুরুতর ছিল, সেটা শাদাবকে দেখেই বোঝা গিয়েছিল। তিনি উঠতেই পারছিলেন না। মাঠেই শুয়ে ছিলেন শাদাব। মাঠের মধ্যেই বেশ কয়েক মিনিট ধরে তাঁর চিকিৎসা চলে। এর পর সাপোর্ট স্টাফেদের কাঁধে ভর করে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। স্ট্রেচারও আনা হলেও ওঠেননি। তবে কিছু ক্ষণ পরেই আবার ফিল্ডিং করতে নেমে পড়েন শাদাব। তবে বল করেননি। কিন্তু তাঁর অস্বস্তি থাকায়, শেষ পর্যন্ত একেবারেই মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন শাদাব। ১৫তম ওভারে শাদাবের জায়গায় কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামেন উসামা মির।
আরও পড়ুন: ২০১৯-এর ভূতটা ফের ঘাড়ে চাপবে না তো- রোহিতদের একটি বিষয় নিয়ে উদ্বেগে ভারতের প্রাক্তনী
পিসিবি মিডিয়ার বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে চলতি ম্যাচে শাদাব খানের কনকাশন পরিবর্ত নিয়েছে পাকিস্তান। শাদাবের পরিবর্ত হিসাবে নেমেছেন উসামা মির। ফিল্ডিং করতে গিয়ে মাথায় আঘাত পান শাদাব। তিনি এর পর কিছুক্ষণের জন্য মাঠেও নেমেছিলেন, কিন্তু তাঁর চোটের পুরো মূল্যায়নের পরে, পাকিস্তান দলের মেডিক্যাল প্যানেল তাঁকে প্রতিস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেয়। প্লেয়ার পরিবর্তনের অনুরোধ ম্যাচ রেফারি দ্বারা অনুমোদিত করা হয়েছে।’
আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, কনকাশন পরিবর্তের ক্ষেত্রে একই ধরনের ক্রিকেটারকে নামাতে হবে। অর্থাৎ ব্যাটারের জায়গায় ব্যাটার, বোলারের জায়গায় বোলারই কনকাশন পরিবর্ত হিসাবে মাঠে নামতে পারেন। যে কারণে মিরকে নামানো হয় মাঠে এবং তিনি শাদাবের পরিবর্তে বলও করতে পারবেন।
এদিন শাদাব খান প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে নজর কেড়েছিলেন। সাতে ব্যাট করতে নেমে ৩৬ বলে ৪৬ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন তিনি। এটি এদিন পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান। বাবর আজম দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন। সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন সাউদ শাকিল।