এশিয়া কাপে কার্যত একার কাঁধে শ্রীলঙ্কাকে টেনে নিয়ে গিয়েছেন কুশল মেন্ডিস। ব্যতিক্রম হয়নি বিশ্বকাপেও। দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরে যাওয়া ম্যাচে মেন্ডিস ৪টি চার ও ৮টি ছক্কার সাহায্যে ৪২ বলে ৭৬ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন। কোটলায় যেখানে শেষ করেছিলেন, হায়দরাবাদে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পরের ম্যাচে ঠিক সেখান থেকে শুরু করেন কুশল। শাহিন আফ্রিদিদের কার্যত সাধারণ মানে নামিয়ে এনে বাবর আজমদের বিরুদ্ধে ধ্বংসাত্মক শতরান করেন মেন্ডিস।
উপ্পলে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলঙ্কা। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের হার থেকে শিক্ষা নিয়েছে তারা। বুঝে গিয়েছে যে, পিচে বোলারদের জন্য সাহায্য না থাকলে স্কোরবোর্ডে বড় রান তোলা ছাড়া উপায় নেই। তাই শ্রীলঙ্কা শুরুতেই ওপেনার কুশল পেরেরার উইকেট হারিয়ে বসলেও রান তুলতে থাকে ঝড়ের গতিতে।
কুশল মেন্ডিস ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৪০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তবে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকানোর পরেই তিনি টপ গিয়ারে ব্যাট চালাতে শুরু করেন। কুশল শতরানের গণ্ডি টপকে যান ১৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৬৫ বলে। অর্থাৎ, হাফ-সেঞ্চুরি থেকে সেঞ্চুরিতে পৌঁছতে মেন্ডিস খরচ করেন মোটে ২৫টি বল।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ইতিহাসে শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটারদের মধ্যে দ্রুততম অর্থাৎ, সব থেকে কম বলে সেঞ্চুরি করার সর্বকালীন রেকর্ড গড়েন মেন্ডিস। শেষমেশ ১৪টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৭৭ বলে ১২২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে আউট হন মেন্ডিস। হাসান আলির বলে ইমাম উল হকের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
আরও পড়ুন:- NZ vs NED: ১ বলে ১৩ রান, স্যান্টনারের ব্যাটে বিশ্বকাপে ‘আজব’ কীর্তি কিউয়িদের- ভিডিয়ো
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মেন্ডিসের এমন ব্যাটিং তাণ্ডব সঙ্গত কারণেই মন্ত্রমুগ্ধ করে ক্রিকেটপ্রেমীদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুর্নিশ জানান অনেকেই। তবে এমন একজনের কাছ থেকে মেন্ডিসের জন্য প্রশংসা বার্তা উড়ে আসে, যিনি নিজেও এমন ধ্বংসাত্মক মেজাজে ব্যাট করতে পছন্দ করেন।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস চলাকালীনই সোশ্যাল মিডিয়ায় মেন্ডিসের এমন ইনিংসকে কুর্নশ জানান সূর্যকুমার যাদব। তিনি টুইট করেন, ‘কুশল মেন্ডিস ফায়ার। কী অসাধারণ ইনিংস!’ বোঝাই যাচ্ছে যে, সূর্যর নজর রয়েছে পাকিস্তান ম্যাচের দিকে। শনিবারের মহারণের আগে কি বাবর আজমদের মেপে নিচ্ছেন ভারতীয় তারকা? মেন্ডিসের এমন ইনিংস নিঃসন্দেহে বাড়তি সাহস জোগাবে ভারতীয় তারকাদের। কেননা মার খেলে শাহিন আফ্রিদিদের যে নিতান্ত সাধারণ মানের মনে হয়, সেটা প্রমাণ হয়ে গেল আরেকবার।