আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে লক্ষাধিক দর্শকের একসঙ্গে বসে খেলা দেখা নতুন কিছু নয়। তবে ১৪ অক্টোবরের ম্যাচের আবহ অন্য সব ম্যাচের থেকে আলাদা। ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা-উদ্দীপনা যেমন চরম সীমা ছুঁয়ে ফেলবে এই ম্যাচে, ঠিক তেমনই বিশৃঙ্খলা তৈরি ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কাও থেকে যায়। তার উপর বেনামি ই-মেলে হুমকি। কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয় গুজরাট সরকার। ম্যাচের দিন নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থায় মুড়ে ফেলা হবে স্টেডিয়াম। এমন কি শহরের বিশেষ বিশেষ জায়গায় মোতায়েন করা হবে নিরাপত্তারক্ষী। সুতরাং শনিবার কার্যত দুর্গে পরিণত হবে আমদাবাদ।
কেমন হতে চেলেছে আমদাবাদের নিরাপত্তা ব্য়বস্থা:-
১. পুলিশ ও বিভিন্ন এজেন্সির মোট ১১ হাজারেরও বেশি নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন থাকবেন স্টেডিমার চত্ত্বর ও শহরের বিভিন্নি স্থানে।
২. গুজরাট পুলিশ ছাড়াও কাজে লাগানো হবে এনএসডি, ব়্যাফ, হোম গার্ডদের।
৩. গত দু'দশকে আমদাবাদে ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালীন কোনও সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। তবে ভারত-পাক ম্যাচ বলেই কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না সরকার। তাই বিশেষ সম্প্রদায়গোষ্ঠীর জনবসতি যে সব স্থানে বেশি, সেই সব স্থানে আলাদা করে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা হবে।
৪. আমদাবাদের পুলিশ কমিশানারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ৭০০০ পুলিশকর্মী ও ৪০০০ হোম গার্ড ব্যবহার করা হবে নিরাপত্তা রক্ষায়।
আরও পড়ুন:- NZ vs NED: ১ বলে ১৩ রান, স্যান্টনারের ব্যাটে বিশ্বকাপে ‘আজব’ কীর্তি কিউয়িদের- ভিডিয়ো
৫. এনএসজি-র একটি অ্যান্টি ড্রোন টিম ও তিনটি অ্যাকশন টিম নজর রাখবে স্টেডিয়াম চত্ত্বরে।
৬. বিস্ফোরক চিহ্নিতকরণ ও নিস্ক্রিয়করণের ৯টি দল স্টেডিয়াম চত্ত্বরের প্রতিটি কোণা সুরক্ষিত রাখার কাজে মোতায়েন করা হবে।
৭. ১৩ কোম্বানি স্টেট রিজার্ভ ফোর্স ও ৩ কোম্বানি ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স শহরের স্পর্শকাতর জায়গাগুলিতে মোতায়েন থাকবে ম্যাচের দিন।
৮. যে কোনও ধরনের সিবিআরএন (কেমিক্যাল, বায়োলজিক্যাল, রেডিওলজিক্যাল ও নিউক্লিয়ার) হামলার মোকাবিলা করার জন্য স্টেট ডিজাসটার রেসপনস ফোর্স ও ন্যাশনাল ডিজাসটার রেসপনস ফোর্স মোতায়েন করা হবে শহরে।
৯. চারজন ইন্সপেক্টর জেনারেল ও ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল পদমর্যাদার সিনিয়র আইপিএস অফিসার এবং ২১ জন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ পদমর্যাদার অফিসার নিরাপত্তা ব্যবস্থার তত্ত্বাবধান করবেন।
উল্লেখ্য, মুম্বই পুলিশ সম্প্রতি বেনামি ই-মেলে আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে হামলার হুমকি পেয়েছে। বিষয়টি যে অত্যন্ত গুরুত্বসহকারে দেখছে গুজরাট সরকার, বোঝা যায় ভারত-পাক ম্যাচে এমন নিরাপত্তার বন্দোবস্ত দেখেই।