বিশ্বকাপের মাঝেই হঠাৎ করে খবর রটেছিল যে, আফগানিস্তানের এক ক্রিকেটারকে নাকি ১০ কোটি টাকা দিয়েছেন রতন টাটা। সেই বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন ভারতের এই শিল্পপতি। তিনি এই বিষয়ে আসল সত্যিটা জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হন। এবং সেখানে তিনি জানিয়ে দেন, পুরো খবরটাই ভুয়ো। তিনি কাউকে আর্থিক সাহায্য করেননি। সাহায্য করবেন, সেই রকম কোনও প্রতিশ্রুতিও দেননি।
তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি ক্রিকেটারদের জন্য ‘জরিমানা বা পুরষ্কার’ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) কাছে কখনও কোনও সুপারিশ করেননি। পাশাপাশি তিনি ‘ক্রিকেটের সঙ্গে যে কোনও সংযোগ’-এর কথাই অস্বীকার করেছেন।
আসলে আফগানিস্তানের তারকা ক্রিকেটার রশিদ খান নাকি পাকিস্তানকে ব্যঙ্গ করার জন্য ভারতীয় পতাকা হাতে সেলিব্রেশনে মেতেছিলেন। সেই জন্যই নাকি আইসিসির তরফে আফগান স্পিনারকে ৫৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। এর পরেই সর্বভারতীয় একাধিক প্রচারমাধ্যমে বলা হয়, রতন টাটা নাকি নিজের উদ্যোগে এই জরিমানার অঙ্ক মেটাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন। তিনি ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। এমন খবর হুহু করে দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত এই বিষয়ে রতন টাটা টুইট করতে বাধ্য হন। বলে দেন, এরকম কোনও প্রতিশ্রুতি তিনি করেননি।
আরও পড়ুন: কপিল যেটা করত, ঠিক সেটাই করছে শামি- তারকা পেসারের সাফল্যের রহস্য ফাঁস করলেন গাভাসকর
তিনি এক্সে (অতীতের টুইটার) লেখেন, ‘আমি কোনও ক্রিকেটারের জরিমানা বা কোনও ক্রিকেটারকে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে আইসিসি বা কোনও সংস্থাকে পরামর্শ দিইনি। ক্রিকেটের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। অনুগ্রহ করে আমার অফিসিয়াল প্ল্যাটফর্ম থেকে থেকে যতক্ষণ না বিবৃতি আসছে, ততক্ষণ এই ধরনের ফরোয়ার্ড করা হোয়াটসঅ্যাপ এবং ভিডিয়োগুলিকে বিশ্বাস করবেন না।’
টাটার ভুয়ো খবর ছড়িয়ে পড়ার পরে অনেকে সমাজমাধ্যমে তাঁর প্রশংসা শুরু করেছিলেন। কেউ কেউ তো অন্য শিল্পপতিদের তাঁকে দেখে শিক্ষা নেওয়ার পরামর্শও দিয়েছিলেন। কিন্তু সবটাই যে অসত্য, তা জানা গেল। এমন কী রশিদকে আইসিসি কোনও শাস্তি দিয়েছে কি না, সেই খবরেরও কোনও সত্যতা নেই। আইসিসি বা আফগানিস্তান দলের তরফেও এই বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। আসলে পুরো বিষয়টিই ছিল ভুয়ো।
ওয়ানডেতে এর আগে একবার-ও পাকিস্তানকে হারাতে পারেনি আফগানিস্তান। ৭ বারের মুখোমুখি সাক্ষাতে সাত বারই হার হজম করতে হয়েছিল। তবে সেই পরিসংখ্যান বদলে গিয়েছে চলতি বিশ্বকাপে। চলতি টুর্নামেন্টে এই নিয়ে দ্বিতীয় জয় পেল আফগানিস্তান। এর আগে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে আফগান বাহিনী। সব মিলিয়ে বিশ্বকাপে তিনটে জয়ের সাক্ষী থাকল তারা। ২০১৫ সালে স্কটল্যান্ডকে হারায় আফগানিস্তান। ২০১৯-এর বিশ্বকাপ সংস্করণে একটি ম্যাচও জিততে পারেনি। তবে ২০২৩-এ জোড়া জয় পেয়েছে দুই হেভিওয়েট দেশের বিপক্ষে। ইংল্যান্ডকে হারানোর পর তারা পাকিস্তানকে হারিয়েছে।