দরকারের সময় ব্যাট হাতে মাঠে নামলে ব্যক্তিগত রেকর্ডের কথা মাথায় রাখেন না, একথা বহুবার জানিয়েছেন প্রথম সারির ক্রিকেটাররা। তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও শতরান হাতছাড়া করলে হতাশ হবেন না, এমন কোনও ব্যাটসম্যান খুঁজে পাওয়া মুশকিল হবে। বিরাট কোহলিও ব্যতিক্রমী নন।
দল যদি সুবিধাজনক জায়গায় থাকে, তবে ব্যক্তিগত মাইলস্টোনের হাতছানি উপেক্ষা করতে চান না কেউই। চেন্নাইয়ে ৯৭ রানে নট-আউট থেকে যাওয়া লোকেশ রাহুল স্পষ্ট স্বীকার করে নেন যে, শতরানে পৌঁছনোর কথা ভাবছিলেন তিনি। বিরাট কোহলির মাথাতেও যে সেঞ্চুরির ভাবনা ঘুরপাক খাচ্ছিল, সেটা বোঝা যায় তিনি আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার পরে।
রবিবার চিপকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে যে রকম ব্যাট করছিলেন, তাতে সেঞ্চুরি বাঁধা দেখাচ্ছিল কোহলির। যখন ব্যাট করতে নেমেছিলেন, দল ছিল বেকায়দায়। এমন পরিস্থিতি থেকে লোকেশ রাহুলকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে টেনে তোলেন বিরাট। ভাগ্যও সঙ্গে দেয় তাঁকে। ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায় মিচেল মার্শের হাত থেকে জীবনদানও পান কোহলি।
তবে ভারত যখন বিপদসীমা পার করে জয়ের দিকে এগোচ্ছে, এমন সময় মুহূর্তের ভুলে আউট হয়ে বসেন বিরাট। দ্বিতীয় ইনিংসের ৩৭.৪ ওভারে জোশ হেজেলউডের বলে মার্নাস ল্যাবুশানের হাতে ধরা পড়ে যান কোহলি। ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ১১৬ বলে ৮৫ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
দলগত ১৬৭ রানের মাথায় আউট হন বিরাট। সুতরাং, জিততে তখনও ভারতের দরকার ছিল ৩৩ রান। শতরানে পৌঁছতে বিরাটের প্রয়োজন ছিল ১৫। সুতরাং, টিকে থাকলে অনায়াসে তিন অঙ্কের রানে পৌঁছে যেতে পারতেন তিনি। সঙ্গত কারণেই এমন সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করার পরে হতাশ দেখায় বিরাটকে। সাজঘরে ফেরার পরে কোহলিকে দু'হাতে একাধিকবার কপাল চাপড়াতে দেখা যায়। আউট হয়ে বিরাটের এমন প্রতিক্রিয়ার ভিডিয়ো মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়।
উল্লেখ্য, ওয়ান ডে ক্রিকেটে আপাতত বিরাট কোহলির ঝুলিতে রয়েছে ৪৭টি শতরান। আর ৩টি সেঞ্চুরি করলেই বিশ্বের প্রথম ব্যাটার হিসেবে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৫০টি সেঞ্চুরির গণ্ডি ছুঁয়ে ফেলবেন তিনি। এই মুহূর্তে ওয়ান ডে ক্রিকেটে সব থেকে বেশি ৪৯টি সেঞ্চুরির বিশ্বরেকর্ড রয়েছে সচিন তেন্ডুলকরের নামে। মাস্টার ব্লাস্টারের বিশ্বরেকর্ড ছুঁতে বিরাটের দরকার মোটে ২টি শতরান। চেন্নাইয়ে কোহলির সামনে সুযোগ ছিল সচিনের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়ার। শেষমেশ সেটা সম্ভব হয়নি যদিও।