রাস্তার ধারে দোকান চালিয়ে খ্যাতির শীর্ষে পৌঁছেছেন নন্দিনী গাঙ্গুলী। করোনা লকডাউনের সময় ডালহৌসির ধারে ফুটপাথের উপর ভাতের হোটেল চালানো নন্দিনী হঠাৎই নজরে এসেছিলেন এক ইউটিউবারের। জিন্স-টি শার্ট গায়ে, গলায় ব্লু টুথ হেডফোন, ফটাফট ইংরেজি বলছেন, মেয়েটি চলে আসেন নজরে। আর তারপর তো রাতারাতি ভাইরাল।
তবে বৃহস্পতিবার সকালে তিনি হঠাৎই লাইভে আসেন ইনস্টাগ্রাম থেকে। যা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়ে তাঁর অনুরাগীদের কপালে। ফেব্রুয়ারি মাসে নন্দিনী জানিয়েছিলেন, একটা মাইল্ড হার্ট অ্য়াটাক হয় তাঁর। যার জন্য বেশ কয়েকদিন সেই সময় দোকানেও আসতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ‘ও তোমার নয়, আমার মেয়ে…’, কে নিজেকে সোনাক্ষির ‘দ্বিতীয় মা’ হিসেবে করল দাবি?
তবে এবার অবশ্য, নন্দিনী অসুস্থ নন। আসলে তাঁর মা চিকিৎসাধীন। এখন একটু একটু করে সেরে উঠছেন। তবে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাননি। নন্দিনীর লাইভে আসার উদ্দেশ্য অবশ্য ছিল, সবাইকে জানানো তাঁর নতুন দোকান খোলার কাজ কিছুদিন পিছিয়েছে। কিছু কাজ বাকি থেকে যাওয়ায় আরও কদিন দেরি হবে।
আরও পড়ুন: কোয়েলের কারণেই প্রথমবার প্রকাশ্য়ে নুরসত আর যশের ছেলে ইশানের মুখ! কার মতো দেখতে হল কিউটের ডিব্বাকে
আপাতত ডালহৌসির পাশাপাশি নন্দিনীর দোকান আছে নিউ টাউন আর ডিএলএফ মোড়ে। নন্দিনীদি-র হেঁশেলের চাহিদা এখন মারাত্মক। ভাত-ডাল-মাছ মাংসের ঝোলের পাশাপাশি সেখানে পাওয়া যাচ্ছে পোলাও-বিরিয়ানিও।
আরও পড়ুন: ‘অনেক বিয়ে আছে যেখানে সুখ নেই’, ইন্দ্রনীল-বরখার ডিভোর্সে নাম জড়ায়, কী বলছেন ইশা
এর আগে নিজের স্ট্রোক নিয়ে নন্দিনী জানিয়েছিলেন, ‘এখন অনেকটা ভালো আছি। তাই খুশি। আর খুশি না থেকেও তো উপায় নেই। জীবনে কোনওকিছুই তো থেকে যায় না। এই খুশিটাই থেকে যায়।’। সঙ্গে আরও বলেছিলেন, ‘১৪ তারিখ (ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে পেটখারাপ হয়েছিল। ২৫-৩০বার বাথরুমে যেতে হয়। খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম। তারপর ডাক্তারের কাছে গেলে জানতে পারি মাইল্ড একটা স্ট্রোক হয়েছে। এখন অনেকটাই ভালো আছি। তাও শরীরে একটা প্রভাব তো পড়েই। কদিন ধরে মানসিক একটু চাপে ছিলাম। সেই কারণেও হতে পারে।’
তবে হোটেলের ব্যবসার পাশাপাশি নন্দিনী চালাচ্ছেন নিজের ইউটিউব চ্য়ানেলও। আর সঙ্গে একটি সিনেমাতেও অভিনয় করে ফেলেছেন। সেই সিনেমাতে ছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ও। তবে সিনেমা কবে মুক্তি তা এখনও জানাননি স্মার্ট দিদি।