এই মুহূর্তে চলছে উইমেন্স প্রিমিয়র লিগ। বৃহস্পতিবার উইমেন্স প্রিমিয়র লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হয় দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে দিল্লি ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান তোলে। দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শেফালি (৫০) এবং ক্যাপ্সি (৪৬)। এছাড়াও ক্যাপ মাত্র ১৬ বলে ৩২ রান করেন ২টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। এছাড়াও জেস জোনাসেন ১৬ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৪টি বাউন্ডারি এবং ২টি ওভার বাউন্ডারির সৌজন্যে। বলা ভালো ব্যাটারদের দাপটে দিল্লি ক্যাপিটালস বিপক্ষকে বড় রান টার্গেট দিতে সক্ষম হয়।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর শুরুটা বেশ ভালোই করে। বিশেষ করে ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৪৩ বলে ৭৪ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসটা সাজানো ছিল ১০টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্যে। এছাড়া দলকে কিছুটা সাহায্য করেন মেঘনা। তিনি মাত্র ৩৬ রান করেন। এই দুই ব্যাটার ছাড়া আর কেউ বড় রান করতে পারেননি। যার ফলে মাত্র ১৬৯/৯ রানেই শেষ হয়ে যায় আরসিবির ইনিংস। ২৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় দিল্লি ক্যাপিটালসের মেয়েরা।
তবে এই ম্যাচে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, জর্জিয়া ওয়্যারহামের দুর্দান্ত ফিল্ডিং। যা মনে করিয়ে দিল এবি ডিভিলিয়ার্সকে। ২০১৮ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এবডি বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে লাফিয়ে যে ক্যাচ ধরেছিলেন, ঠিক তেমনই এদিন করে দেখালেন জর্জিয়া। তাঁর এই প্রয়াস দেখে এবিডির কথা মনে পড়তে বাধ্য। শেফালি ব্যাট করতে নামলে ক্যাপ্সির বলে বড় শট খেলতে যান। তাতে তিনি সফলও হন। কিন্তু অল্পের জন্য আউট হননি তিনি। কারণ বাউন্ডারির ধারেই ছিলেন জর্জিয়া। তিনি লাফিয়ে ক্যাচ ধরার চেষ্টা করেন। বা-হাতে বলটি তালু বন্দিও করে ফেলেন। কিন্তু কিন্তু দেহের ভারসাম্য রাখতে না পেরে তিনি বাউন্ডারি লাইনের বাইরে চলে যান। যদিও তিনি ওভার বাউন্ডারি রুখে দেন। বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেন তিনি। বাউন্ডারি লাই পার হওয়ার আগেই বলটি ছেড়ে দেন জর্জিয়ে। ফলে ওভার বাউন্ডারি হয়নি। তবে তাঁর এই দুর্দান্ত প্রচেষ্টাকে কুর্নিশ জানিয়েছে গোটা দল। শুধু তাই নয়, অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানাও তাঁর এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
এই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় এই মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। অনেকেই এবিডির সঙ্গে তুলনাও করতে শুরু করে দিয়েছে। ঠিক যেমনটা এবিডি আরসিবির হয়ে করেছিলেন। তবে সে যাই হোক না কেন, এই ম্যাচ জিততে পারেনি আরসিবি। স্বাভাবিক ভাবেই হতাশ হয়েছেন মাঠে আসা আরসিবির সমর্থকরা।