ভোটের ফলাফল ঘোষণার পরের দিনই তৃণমূলের পঞ্চায়েতের সদস্যদের পদত্যাগ করতে হবে। শনিবার দিনহাটার সভা থেকে এভাবেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যদের নিশানা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী ১০ই এপ্রিল কোচবিহারে ভোট।দিনহাটাতেও জমে উঠেছে ভোটের লড়াই। একদিকে তৃণমূলের প্রার্থী উদয়ন গুহ ও অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। জোর টক্কর চলছে দুই শিবিরের মধ্যে। এসবের মধ্যেই শনিবার সেই লড়াইয়ে নতুন মাত্রা যোগ করে দিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। দিনহাটার সংহতি ময়দানের সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যরা নাকি ধমক দিচ্ছেন।বলছেন ভোট না দিলে দেখে নেব।ওদের বলবেন ২রা মের পরে ৩ তারিখ বিডিও অফিসে আর এসডিও অফিসে তোমাদের পদত্যাগ করতে হবে। যেমন ত্রিপুরায় বিজেপি আসার পরে সব পঞ্চায়েত সদস্যকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। তিন মাসের মধ্যে পুরসভা, পঞ্চায়েতে ভোট করে জনগণের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে বিজেপি। এদিকে ভোটের মুখে শুভেন্দু অধিকারীর এই মন্তব্যকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে তৃণমূলের অন্দরে।এনিয়ে ইতিমধ্যেই মুখ খুলেছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ক্ষমতায় আসার পরে ৯৮ শতাংশ পঞ্চায়েত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল বিজেপি।উনি কি সেটাই মনে করিয়ে দিতে চাইলেন? তবে বাসিন্দাদের একাংশের মতে গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়াবহ সন্ত্রাস দেখেছিল কোচবিহার।দিনহাটা, মাথাভাঙা সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কার্যত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করেছিল তৃণমূল। এনিয়ে নানা সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল শাসকদলকে।এবার বিধানসভা ভোটের মুখে শাসকদলের সেই পঞ্চায়েত সদস্যদেরই প্রকাশ্য সভা থেকে রীতিমতো সতর্ক করে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে মূলত বুথস্তরে কাজ করা তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের চাপে রাখতেই কৌশলী পদক্ষেপ নিলেন শুভেন্দু অধিকারী।
অন্যদিকে শনিবার কোচবিহারের একাধিক সভা থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একেবারে চড়া সুর বেঁধে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, একজনকে জয় শ্রীরাম বললে রেগে যান, আর একজনকে তোলাবাজ ভাইপো বললে রেগে যান।