বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। সেই নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার নিরিখে এবার বড় পদক্ষেপ নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার। গোটা বাংলাদেশ জুড়ে কয়েক হাজার সশস্ত্র বাহিনীর জওয়ানকে মোতায়েন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন ওই দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
মন্ত্রকের তরফে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এই সশস্ত্র বাহিনী নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা করবে। স্থানীয় প্রশানকেও সহায়তা করবে। ১০জানুয়ারি পর্যন্ত এই কাজ করা হবে। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রক্ষার জন্য় এটা করা হবে। আসন্ন জাতীয় ভোট উপলক্ষ্যে এই সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর।
এই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দেশের অন্তত ৬২টি জেলায় এই সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে এই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে। ৪৭টি সীমান্ত উপজেলায় এই সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
সব মিলিয়ে ১,১৫১ প্লেটুন আধাসামরিক বর্ডার গার্ড মোতায়েন করা হবে। পুলিশ, Rapid Action Battalion, সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে একযোগে পাহারা দেবে আধাসামরিক বর্ডার গার্ড। সব মিলিয়ে প্রায় ১.৮৯ লাখ পুলিশকে গোটা বাংলাদেশ জুড়ে মোতায়েন করা হচ্ছে।
বিজিবি মেম্বারদের অন্তত ৪৫টি উপজেলাতে মোতায়েন করা হবে। উপকূলবর্তী এলাকাতেও উপকূলরক্ষী বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে।
১৯টি উপজেলাতে বাংলাদেশ নেভিকে মোতায়েন করা হচ্ছে। ভোলা ও বারগুনার মতো এলাকায় এই বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকায় যে বুথগুলি রয়েছে সেখানে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য় আপৎকালীন পরিস্থিতির জন্য় হেলিকপ্টারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
১০ জানুয়ারি পর্যন্ত সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে স্পেশাল সেল করা হচ্ছে। এদিকে আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে ভোট। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এই ভোট বয়কটের ডাক দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া নেতৃত্বে রয়েছে এই বিএনপি। তারা দাবি করেছিলেন কোনও রাজনৈতিক দল ছাড়া একটা দলবিহীন নিরপেক্ষ সরকারকে এই ভোট পরিচালনা করতে হবে। কিন্তু সেটা মানতে চায়নি শেখ হাসিনার সরকার।