ফের নির্বাচন কমিশনে দরবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, ছেলের সামনে বাবাকে চড় মারছে পুলিশ। ৫ই জুন ভোট ঘোষণার আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এসপি তৃণমূলের ভাইপোর মিছিলে হাঁটছেন। আমরা সিডি দিয়েছি। আমরা আদালতে যাব। এই পুলিশ দিয়ে ভোট হবে? মমতা পুলিশ নাকি বেতন পাওয়া পুলিশ? প্রশ্ন করলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু বলেন, এটা কি গণতন্ত্র? রাজ্য়ের গ্রামীণ থানায় এক কোম্পানি করে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখতে হবে। বর্ষার জন্য সেল তৈরি করার কথা বলেছি। আমরা কাগজ তৈরি করছি। আমাদের পক্ষ থেকে যেখানে যাওয়া দরকার সেখানে যাব।
এরপর তিনি বলেন, এই দেখুন ডায়মন্ডহারবার মডেল। পিংকি হালদার। আমাদের বিজেপি কর্মী। ভাইপোর বাহিনী এই পিংকি দেবীকে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটিয়েছিল। নির্বাচন কমিশনারকে বলে দিয়েছি এরপর আর উঠব না। আপনার নিরপেক্ষতাকে বিসর্জন দিয়েছেন আগেই।
প্রসঙ্গত গত ২৫ জুন পিংকি হালদার নামে ওই বিজেপি প্রার্থীকে তৃণমূলের মিছিলে হাঁটতে দেখা যায়। এনিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে যায়। এদিন সাংবাদিকদের সামনে সেই পিংকি হালদারকে হাজির করলেন শুভেন্দু।
এদিকে বিজেপি প্রার্থী পিংকি হালদার বলেন, তৃণমূলের লোক আমাদের বাড়িতে এসেছিল। ওদের সঙ্গে কথা বলার জন্য বলে। ওদের হয়ে কথা বলার জন্য বলে। আমার হাতে ঝান্ডা ধরিয়ে দেয়। পরিস্থিতির চাপে এটা হয়েছিল। যারা ছিল তাদের আমি চিনি না। মনোনয়নের দিনও আমাদের আটকেছে। আমাকে ভয় দেখিয়েছে।
শুভেন্দু বলেন, ২৫ তারিখ আটকেছে। তৃণমূলের হয়ে ভোট দিতে বলেছিল। পদ্মফুলের প্রার্থীকে বলছে ঘাসফুলের হয়ে ভোট দিতে। এটা আবার হয় নাকি?
শুভেন্দু বলেন, এসপি ডায়মন্ডহারবারকে আমি দেখে ছাড়ব। অন্যদিকে হেলিকপ্টার থেকে নামার সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন পায়ে চোট পেয়েছেন উত্তরবঙ্গে।এরপর তিনি দ্রুত বাগডোগরা থেকে কলকাতায় ফিরে আসেন।
এনিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী সুস্থভাবে ফিরে এসেছেন এটা খুশির খবর। যেভাবে মেঘ এসেছিল, জরুরী অবতরণ করা হয় বিমানের এটা রাজ্যবাসীর কাছে খুশির খবর। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের পায়ের চোট নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তাঁর দাবি এটা ব্যক্তিগত বিষয়। তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করব না।
তবে এদিন একদিকে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করে তির ছোঁড়েন। তেমনি রাজ্যের শাসকদলকেও নিশানা করেন তিনি।