পঞ্চায়েত ভোটের ধাক্কা লাগতে পারে ইলিশমাছের বাজারেও। বৃহস্পতিবার থেকে সরকারি ভাবে ইলিশমাছ ধরা শুরু হয়েছে। কিন্তু কটা ট্রলার মাছ ধরার জন্য সমুদ্রে পাড়ি দিতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারণ সমুদ্র উপকূলবর্তী যে সব অঞ্চল থেকে মৎসশিকারিরা মাছ ধরতে যান সেই সব এলাকায় এখন পঞ্চায়েত ভোটের আবহ। ফলে মৎসশিকারি এবং ট্রলার কর্মীরা কত জন ইলিশ শিকারের কাজে বেরোবেন তা নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে। ফলে বাজারে টাটকা মাছ মাছ কম মিলতে পারে। দাম বাড়তে রুপালি শস্য়ের।
মুলত ক্যানিং, নামখানা ও দিঘার মতো এলাকা থেকে মাছ ধরতে যান মৎসজীবীরা। পঞ্চায়েত ব্যবস্থার মধ্যে এই সব এলাকা পড়ায় তারা খুব স্বাভাবিক ভাবে ব্যস্ত তারা ভোটের কাজে ব্য়স্ত পড়েছেন। নিজের পছন্দের দলের সঙ্গে প্রচারের নেমেছেন। মাছ রপ্তানি ব্যবসায়ী সংগঠনের সভাপতি অতুলচন্দ্র দাসও সংবাদ প্রতিদিনকে সেই কথাই জানিয়েছেন। তিনি বলেন,'ভোটের নানা কাজে ব্যস্ত হওয়ায় তারা মাছ ধরতে যাচ্ছেন না। ফলে এবার কটা ট্রলার নামবে তা নিয়ে সন্দেহ আছে।'
১৫ এপ্রিল থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মাছের প্রজনন কাল। এই সময় সমুদ্রে ইলিশ মাছ ধরাতে সরকারি নিষেধাজ্ঞা থাকে। কেউ ইলিশ ধরতে যান না সমুদ্রে। বৃহস্পতিবার থেকে সেই নিষেধাজ্ঞা উঠে গিয়েছে। ফলে ওই দিন থেকে সমুদ্রে ট্রলার নামার কথা। কিন্তু লোকের অভাবে অনেক কম ট্রলার মাছ নেমেছে বলে জানিয়েছেন মৎসব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় এক আড়তদার জানিয়েছেন, লোকের অভাব রয়েছে। ফলে সব ট্রলার নামানো সম্ভব হচ্ছে না। কোনও বছর এই সময়ে পঞ্চায়েত ভোট হয় না। কিন্তু এ বছর হওয়াতে সমস্যায় পড়েছেন মাছ ব্যবসায়ীরা।
এর পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়াকেও ট্রলার কম নামার অন্যতম একটি কারণ বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। বৃষ্টি না হওয়ার ফলে সমুদ্রে কতটা মাছ আসবে তা নিয়ে সংশয়ে তাঁরা। ফলে সাতপাঁচ ভেবে তাঁরাও কম ট্রলার নামাচ্ছেন।
মৎস রপ্তানি ব্যবসায়ী সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর ছ'হাজারের মতো ট্রলার সমুদ্রে নামে। তবে এবার সব নামবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। নানা কারণের মধ্যে তাপপ্রবাহও অন্য একটি সমস্যা। বৃষ্টি কম হলে মাছও সমুদ্রে কম মেলে। ফলে বাজারে ইলিশের যোগান কমতে পারে । বাড়তে পারে দাম।