শনিবার পঞ্চায়েত ভোট চলাকালীন বিভিন্ন বুথে কার্যত সন্ত্রাস চলেছিল। ছাপ্পা ভোট, ব্যালট বাক্স চুরিসহ আরও অভিযোগ ওঠার পরেই পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন বিরোধীরা। সেইমতোই আজ রাজ্যের রাজ্যের বহু বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। এদিন পুনর্নির্বাচনকে ঘিরে অশান্তির খবর খুব একটা পাওয়া যায়নি। তবে ভোট দিতে গিয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল নদিয়ায়। মৃত্যু হল এক ভোটারের। ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়া জেলার তেহট্ট থানার ঘোড়াদহ ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে। মৃত ভোটারের নাম নবদ্বীপ হালদার। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে বলে অনুমান চিকিৎসকদের।
আরও পড়ুন: কোচবিহারে বিজেপি প্রার্থীর দুয়ারে হুমকি পোস্টার, পুনর্নির্বাচনের দিনে আলোড়ন
অন্যান্য পঞ্চায়েতের মতোই ঘোড়াদহ পঞ্চায়েতে চলছিল পুনর্নির্বাচন। ওই পঞ্চায়েতের সিসা গ্রামের হালদার পাড়ার বুথ এলাকায় অন্যান্য ভোটারদের মতো ভোট দিতে গিয়েছিলেন নবদ্বীপ। জানা যায়, সোমবার প্রচণ্ড গরমের মধ্যে ভোট দেওয়ার জন্য তিনি লাইনে দাঁড়ান। অত্যাধিক গরমেই তিনি ভোটের লাইনের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। এরপরই তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় লোকেদের তৎপরতায় তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনার জন্য কিছুক্ষণের জন্য ভোট দিতে আসা ভোটারদের মধ্যে পড়ে যায় হুলস্থুল। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই পরিস্থিতি আবার স্বাভাবিক হয়ে যায় বলেই সূত্রের খবর। আচমকা ওই ব্যক্তির মৃত্যুর ফলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারের মধ্যে।
উল্লেখ্য, সোমবার রাজ্যের ২২টি জেলার মধ্যে ১৯টিতে সব মিলিয়ে ৬৯৬ বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে। সকাল ৭ থেকে বিকেল ৫ পর্যন্ত সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে হচ্ছে ভোটগ্রহণ। এদিন মুর্শিদাবাদ জেলার সবচেয়ে বেশি বুথে পুনর্নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। পুনর্নির্বাচনের বুথের সংখ্যার নিরিখে মুর্শিদাবাদের পরেই রয়েছে মালদহ। মৃত্যুর সংখ্যাতেও মুর্শিদাবাদের পরেই রয়েছে এই জেলা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের বিভিন্ন এলাকায় অশান্তি হয়েছিল। কিন্তু, পুনর্নির্বাচনের ক্ষেত্রে চিত্রটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। সকাল থেকে বড় কোনও অশান্তির খবর পাওয়া যায়নি । বিভিন্ন বুথের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন দেখা যায়। সোমবার সকাল থেকেই কমবেশি সব বুথেই দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারি। অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে বদ্ধপরিকর প্রশাসন। নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেখে খুশি স্থানীয়রাও।