তিনি সবসময় সততার কথা বলেন। সৎ পথে থাকার বিষয়ে একাধিকবার টুইট করেছেন তিনি। তা নিয়ে রাজ্য–রাজনীতিতে জোর চর্চাও হয়েছে বহুবার। নিজে টোটো পর্যন্ত চালিয়েছেন রাস্তায়। অথচ আজ তাঁর নামেই অভিযোগ উঠেছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার। আর তাতে বেজায় চটেছেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক। খারিজ করে দিয়েছেন যাবতীয় অভিযোগ। তবে এই ইস্যুটিই এখন জেলার রাজনীতিতে চর্চিত বিষয় হয়ে উঠেছে। আর যাঁর নামে এমন অভিযোগ উঠেছে তিনি হলেন বলাগড় বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী।
এই বিধায়কের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হুগলির বলাগড়ে। তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রার্থী করার অভিযোগ তুলল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদেরই একাংশ। প্রার্থী তালিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি। আগে বিজেপি করেছেন যাঁরা এবং জেলখাটা দুষ্কৃতীরা পেয়েছে টিকিট বলে অভিযোগ। এই অভিযোগে ব্লক সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকে তুমুল হই–হট্টগোল শুরু হয়ে যায়। একের পর এক এই অভিযোগে তপ্ত হয়ে ওঠে বলাগড়। যদিও বিধায়ক সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়েছেন।
ঠিক কী অভিযোগ উঠেছে? পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট সরাসরি টাকা নিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। এই বিষয়ে ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি নবীন গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপির বুথ সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন। অনেক ক্রিমিনাল প্রার্থী হয়েছে। আমি যে প্যানেল দিয়েছিলাম সেটা পুরোটাই নিচুতলায় বুথ স্তরে বসে প্রার্থী ঠিক করা হয়েছিল। বিধায়ক তো কোনও দিন নির্বাচনের ময়দানে ছিলেন না। পঞ্চায়েত নির্বাচনটা একটা অন্য আঙ্গিকে হয়। দলকে বিষয়টা জানিয়েছি। আশা করছি, সুরাহা হবে। যে কর্মীরা সারা বছর কাজ করে তাঁদের বাদ দেওয়া হয়েছে।’
পাল্টা কী বলছেন বিধায়ক? এই অভিযোগ সম্পূর্ণ খারিজ করে দিয়েছেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী। তিনি বলেন, ‘একুশের নির্বাচনের সময় যাঁরা আমার হয়ে কাজ করেছিলেন, সেই মানুষগুলি যাতে বঞ্চিত না হন সেদিকে নজর রেখেছিলাম। তাঁদের বঞ্চনা করার জন্য একটা আপ্রাণ চেষ্টা চলছিল। অনেক চেষ্টা করে ৯০টা মাত্র সিট তাঁদের জন্য আদায় করতে পেরেছি। বাকি সবই ব্লক সভাপতি টিকিট দিয়েছেন। আমি যেখানে প্রার্থী দিয়েছি, ব্লক সভাপতি সেখানেও অন্য প্রার্থীদের মনোনয়ন করিয়ে দিয়েছেন। উনি প্রত্যেকের কাছে উৎকোচের বিনিময়ে টিকিট দিয়েছেন। এক টাকাও আমি নিইনি।’