আমাকে বাঁচান, সুকান্ত মজুমদারের কাছে কাতর আর্জি সশস্ত্র পুলিশকর্মীর

হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর নাম করে বলেন, এখানে ছাপ্পা হবে। আপনি বেরিয়ে যান। ছাপ্পা দিতে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করে তারা। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে।

গঙ্গারামপুরে সুকান্ত মজুমদার। 

ভোটে ছাপ্পাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের জয়দেবপুরে। শনিবার সেখানে তৃণমূল ছাপ্পা দেয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা স্থানীয় সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সেখানে পৌঁছলে নিরাপত্তা চেয়ে তাঁর সামনে কাকুতি মিনতি শুরু করেন বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সশস্ত্র পুলিশকর্মী। এর পর তৃণমূলের জেলা সভাপতি ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তুমুল বিবাদ বেঁধে যায় দুজনের।

গঙ্গারামপুরের জয়দেবপুর নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে ছাপ্পা দিচ্ছে তৃণমূল, এই খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন সুকান্তবাবু। সেখানে গিয়ে পৌঁছতেই নিরাপত্তার দাবিতে দাবিতে তাঁর সামনে কাকুতি মিনতি শুরু করে দেন বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মী কৃষ্ণমোহন ঝাঁ। তিনি বলেন, নির্বিঘ্নেই ভোটগ্রহণ চলছিল। হঠাৎ কয়েকজন যুবক এসে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর নাম করে বলেন, এখানে ছাপ্পা হবে। আপনি বেরিয়ে যান। ছাপ্পা দিতে বাধা দেওয়ায় আমাকে মারধর করে তারা। এমনকী প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে।

সুকান্তবাবু পুলিশকর্মীর কাছে জানতে চান, তিনি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন কি না। জবাবে তিনি বলেন, জানিয়েছি, কিন্তু এখনো আমার নিরাপত্তার কোনও ব্যবস্থা হয়নি।

এরই মধ্যে বিজেপির একদল সমর্থক ওই বুথে ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে দেয়। এই নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়ায়। খবর পেয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি। তাঁর সঙ্গে সুকান্তবাবুর বাদানুবাদ শুরু হয়ে যায়। এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

সুকান্তবাবু বলেন, দুবৃত্তদের হাতে ভোট করানোর দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ভোটের নামে প্রহসন হচ্ছে। এই ভাবে নির্বাচন করানোর কোনও মানে নেই।