পুনর্নিবাচনের আগের দিন রাতে মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় পুকুর থেকে উদ্ধার হল ৩৫টি সকেট বোমা। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কে বা কার ওই বোমা পুকুর ফেলে গিয়েছে তা জানা যায়নি। কংগ্রেসের দাবি শাসকদল অশান্তি পাকানোর জন্য ওই বোমা জলের মধ্যে ফেলে রেখেছে। অন্য দিকে তৃণমূলের দাবি কংগ্রেস এই কাজ করেছে।
(পড়তে পারেন। ছাপ্পা দিতে আসা দুষ্কৃতীকে ধরেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ, জনতার মারে আধমরা পুলিশকর্মী)
পুকুরের মালিক নওশাদ শেখ জানিয়েছেন, পুকুরের পাড়ে তিন জন বাচা খেলা করছিল। খেলাধুলোর পর হাত ধুতে পুকুরে নামতে গেলই কামাল এক ব্যক্তি তাদের নামতে নিষেধ করে। জানায় পুকুরে বোমা আছে। নওশাদ বলেন, 'সোমবার আমি পুকুরেজাল ফেলে মাছ ধরব। তার আগে এই বোমা পাওয়া গেল। শেষে আমি নিজেই পুকুরে নেমে বোমা উদ্ধার করি।' তার পুকুর থেকে ৩৫টা বোমা উদ্ধার হয়েছে।
কংগ্রেস ব্লক সভাপতি নাজিরুদ্দিন শেখের অভিযোগ, গোট পশ্চিমবঙ্গের মতো বেলডাঙা বারুদের স্তূপের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি বলেন,'কংগ্রেস কর্মীরা যাতে ভোট না দিতে পারে তার জন্য বোমার ব্যবহার করছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। খাগড়বাড়ি সহ বেগুনবাড়ি, শঙ্করপাড়ায় প্রচুর বোমাবাজি হয়েছে। শাসক এলাকায় একক ভাবে সন্ত্রাস করতে বোমার আমদানি করছে।'
বেলডাঙার তৃণমূল বিধায়ক হাসানুজ্জামান শেখ বলেন, 'আমাদের কাছে এই বোমা উদ্ধার নিয়ে কোনও খবর নেই। কী ভাবে বোমা উদ্ধার হয়েছে তা আমাদের জানা নেই।'
(পড়তে পারেন। দৃষ্টিহীন সাজিয়ে ভোট, পুনর্নির্বাচনেও ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ মুর্শিদাবাদে)
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত ভোটের দিন সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর হয়েছে মুর্শিদাবাদে। এদিন বিভিন্ন এলাকায় পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে তিনজন তৃণমূল, এক সিপিএ এবং এক কংগ্রেসের সমর্থক। জখমের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশি। আহতদের ভর্তি করার জন্য হাসপাতালে বেড পাওয়াই ভার হয়েছে। ভোটের পরের দিনও সকাল থেকে বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের খবর পাওয়া গিয়েছে।
এদিকে পুনর্নিবাচনের আগের রাত থেকেই উত্তেজনা খড়গ্রাম থানার স্ট্রং রুমে। কংগ্রেসর অভিযোগ, স্ট্রং রুম থেকে ব্যালট বাক্স বার করে নিয়ে তাতে নতুন করে ব্যালট ভরে দেওয়া হচ্ছে। এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস-সিপিএম। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টিও হয়।