রাত পোহালেই ধূপগুড়ি উপনির্বাচন। লোকসভা ভোটের আগে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই বড় চ্যালেঞ্জ। কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। একদিকে ইন্ডিয়া জোটের কাছেও এবার বড় পরীক্ষা। কারণ এবার একদিকে যখন সিপিএম -কংগ্রেস গলা ফাটিয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তার পরের দিন ধূপগুড়ির সভা থেকে সিপিএম- কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে ধূপগুড়ি নির্বাচনের দিন শেষ পর্যন্ত সিপিএম-কংগ্রেস যৌথভাবে তৃণমূলকে রোখার চেষ্টা করে নাকি ইন্ডিয়া জোটকে 'সম্মান' দেখিয়ে ঘাসফুলকে কতটা জায়গা ছেড়ে দেন সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে গোটা বাংলা।
তবে এবারের নির্বাচনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসা প্রাক্তন বিধায়ক মিতালি রায়ের কাছেও বড় চ্য়ালেঞ্জ। ভোটের ঠিক আগে মিতালিকে দলে টেনে মাস্টারস্ট্রোক দিয়েছে বিজেপি। আগের দিন অভিষেকের সভায় আর পরের দিন পদ্ম আঁকা পতাকাটি হাতে তুলে নিয়েছিলেন মিতালি। এদিকে মিতালির কাছে এবারের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তিনি কতটা বিজেপির ঘর গোছাতে পারলেন তার উপর তাঁর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে। ধূপগুড়ির রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে তাঁকে মঙ্গলবার অন্তত কিছু করে দেখাতে হবে। না হলে তাঁর রাজনৈতিক অস্বস্তিই প্রশ্ন চিহ্নের সামনে এসে দাঁড়াবে। এদিকে আচমকা মিতালি দলে চলে আসার বিষয়টি আবার গেরুয়া শিবিরের একাংশ ভালো ভাবে নিচ্ছেন না। সব মিলিয়ে তার জেরে মিতালির চ্যালেঞ্জ আরও বাড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে মিতালি রায় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, হার জিত থাকলে চ্য়ালেঞ্জ তো থাকবেই। সেই চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত।
তবে কাল পঞ্চায়েত ভোটের পুনরাবৃত্তি অর্থাৎ অশান্তির ভোট নাকি উৎসবের ভোট তা নিয়েও আগ্রহ রয়েছে অনেকের।
তবে ধূপগুড়িতে রাজবংশী ভোট কার দিকে যায় তা নিয়েও নানা হিসেব নিকেশ চলছে। পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, এই বিধানসভায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ৬৮ হাজার, ৮৮৪জন। পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫৭৪ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩০৮ জন।